আক্কেলপুর(জয়পুরহাট)প্রতিনিধিঃ জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ১০ম শ্রেণি পড়–য়া এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে মোবাশে^র আহম্মেদ মোবিন (১৯) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। ঘটনাটি সোমবার পৌনে ১০ টার দিকে উপজেলার গোপীনাথপুরে ঘটেছে। এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদি হয়ে মঙ্গলবার বিকেলে আক্কেলপুর থানায় ওই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। গেপ্তারকৃত যুবক উপজেলার আলিমামুদ পূর্ণ গোপীনাথপুর গ্রামের শফিকুল আলমের ছেলে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আলিমামুদ পূর্ণ গোপীনাথপুর মাদ্রাসার ১০ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত এক ছাত্রী সোমবার সকাল সাড়ে আটটায় বাড়ি থেকে মাদ্রাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়। পথে পূর্ন গোপিনাথপুর তিন মাথার কাছাকাছি পৌঁছিলে অভিযুক্ত ওই যুবক মেয়েটিকে তার পথ আটকিয়ে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে অভিনব কৌশলে অপহরন করে গোপিনাথপুর বাজারের একটি বাড়ীতে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। এতে মেয়েটির রক্তক্ষরণ শুরু হলে ওই যুবক প্রথমে বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার নাহার ক্লিনিকে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানে মেয়েটির চিকিৎসা চলাকালীন চিকিৎসক এবং মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যদের ওই যুবকের আচরণ সন্দেজনক হওয়ায় তাকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। পরে মেয়েটির পরিবারে খবর ও থানা পুলিশে ওই যুবককে হস্তান্তর করেন তারা।

মেয়েটির বাবা বলেন, ‘আমার মেয়েকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করেছে। এতে আমার মেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় বগুড়া হাসপাতালে ভর্তি আছে। আমি সুষ্ঠু বিচার চাই’।

অভিযুক্ত যুবকের চাচা জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘মনে হচ্ছে এটি প্রেম ঘটিত বিষয়। এ বিষয়ে আমার বিস্তারিত জানা নেই’।

আক্কেলপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বকর সিদ্দীক বলেন, ‘এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে’।