কৃষি
গরমে কদর বেড়েছে গাইবান্ধার শসার
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃ কৃষিভান্ডার খ্যাত গাইবান্ধা। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে নজর কেড়েছে শসার ক্ষেত। এ ক্ষেতে ঝুলছে কৃষকের স্বপ্ন। প্রচণ্ড গরমে কদর বেড়েছে এই শসার। গত বছরের তুলনায় এবার ফলন ও দাম ভালো পাওয়া বেজায় খুশি কৃষক।
সোমবার (২১ মে) দুপুরে পলাশবাড়ী কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের চকবালা এলাকায় দেখা যায় কৃষকদের শসা বিক্রির ব্যস্ততা। এ সময় ব্যাপারীরা সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে শসা কিনে তা পাঠাচ্ছিলেন রাজধানী ঢাকায়।স্থানীয় বাজারে প্রতিকেজি শসা পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১২ টাকায়। তবু লাভ থাকছে কৃষকদের। কারণ গত বছর এই দিনে প্রতিকেজি শসা বিক্রি হয় ৩ টাকায়। এ বছর অতিরিক্ত গরমে শসার চাহিদা বেড়েছে। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ শসা বিক্রি করে লাভবান হচ্ছে কৃষকরা। তারা পাইকারি বাজারে ১২ টাকা কেজি বিক্রি করলে ব্যবসায়ীর তা কিনে বিক্রি করেছে প্রতিকেজি ১৫ টাকা পর্যন্ত।
উপজেলার বাড়াইপাড়া গ্রামের কৃষক এনামুল জানান, এ বছরে এক বিঘা জমিতে শসা আবাদ করেছেন। এতে প্রায় ১০০ থেকে ১৩০ মণ ফলন পাওয়া যাবে। খরচ হয়েছে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। সবমিলে ৪৫ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন বলে জানান তিনি।
আরেক কৃষক হাবিব বলেন, রমজান মাসে প্রতিমণ শসা বিক্রি করা হয়েছে ২ হাজার ৪০০ টাকা। দাম কমে বিক্রি করা হচ্ছে ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকায়। তবে গত বছরের এই দিনে ২-৩ টাকা কেজিতে শসা বিক্রি করছিল কৃষকরা। এবারে দাবদাহ থাকায় শসার দামও রয়েছে বেশি।
পাইকারি ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম বলেন, কৃষকদের কাছ থেকে ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা মণ দরে শসা কেনা হচ্ছে। এসব শসা ট্রাক লোড দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে।
গাইবান্ধা কৃষি বিভাগের উপপরিচালক ভোরশেদ আলম জানান, চলতি মৌসুমে জেলায় ৪৫০ হেক্টর জমিতে শসার চাষ হয়েছে। কৃষকদের লাভবান করতে প্রণোদনা দেওয়াসহ সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।
Comments