কৃষি
পলাশবাড়ীতে আউশের চারা নিয়ে মাঠে ব্যস্ত কৃষক
পলাশবাড়ী,গাইবান্ধাঃ গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় কৃষকদের ঘামঝড়া পরিশ্রম আর কৃষি প্রণোদনায় রোপা আউশ চাষে নবদিগন্ত উন্মোচন হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে খাদ্য ঘাটতি মোকাবিলায় ইতোমধ্যে জলমগ্ন মাঠে ধানচারা রোপণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে প্রান্তিক কৃষকরা।
সম্প্রতি দেখা যায়, উপজেলার মহদীপুর, বরিশাল,হোসেনপুরসহ বিভিন্ন ইউনিনের মাঠপর্যায়ে রোপা আউশ ধানচাষে ঝুঁকছেন কৃষক-কৃশাণীরা। জীবন সংগ্রামের স্বপ্নপূরণের আশায় তারা কাঁদা মাটিতে বুনছেন এই ধানের চারা।পলাশবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকতা ফাতেমা কাউসার মিশু বলেন, এই অঞ্চলটি ধান-পাট, শাক-সবজিসহ সব ধরনের কৃষি ফসল উৎপাদন উপযোগী। বিশেষ করে রোপা আমন ও বোরো ধান চাষের পাশাপাশি খরিপ-১ মৌসুমে রোপা আউশ ধান চাষাবাদ হয়ে আসছে। বোরো ও আমন ধানের মধ্যবর্তী সময়ে রোপা আউশ ধান চাষাবাদ করা হয়। বছরের মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত আউশের চারা রোপণের উপযোগী সময়। আউশ আবাদটি স্থানীয়ভাবে বর্ষালী ধান নামে পরিচিত। গত কয়েক বছর ধরে পলাশবাড়ীতে কৃষকরা ব্রি ধান-২৮, ৪৮, ৫৫ ও ৪৩ জাতসহ বিভিন্ন জাতের আউশ ধান চাষ করে চলেছেন। এতে ভালো ফলনও পেয়েছেন তারা। তাই এবারও বেশ আগ্রহী হয়ে চারা রোপণ করছেন কৃষকরা। চলতি মৌসুমে ১ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আউশ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নিধারণ করা হয়। ইতোমধ্যে প্রায় ৪০০ হেক্টর অর্জন হয়েছে।মহদীপুর ইউনিয়েন কৃষক আমজাদ হোসেন জানান, গেল বোরো মৌসুমে অতি খরায় কিছুটা ফসলহানি হয়েছে। এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে স্থানীয় কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় এ বছর দেড় বিঘা জমিতে আউশ ধানের চারা লাগনো হয়েছে।
হোসেনপুরের কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, স্বল্প খরচে এবং দুর্যোগ ছাড়াই আউশ ধান ঘরে তোলা যায়। ফলন ভালো হলে বিঘাপ্রতি প্রায় ১২ থেকে ১৪ মণ ধান ঘরে তোলা সম্ভব। এতে করে সংসারে খাদ্য ঘাটতি থাকে না।
Comments