সারাদেশ

বামনডাঙ্গা বাজারে নেই ড্রেনেজ ব্যবস্থা, জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ


ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বামনডাঙ্গা বাজারের ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকা বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই পানিতে থৈথৈ করে পুরো বাজার এলাকা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় ভোক্তাসহ ব্যবসায়ীদের।সম্প্রতি এমনি এক চিত্র দেখা গেছে, ওই বাজারে। কয়েকদিনে হালকা বৃষ্টিতে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে করে ভোগান্তি বেড়েছে বাজারে আসা মানুষদের।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বামনডাঙ্গার এই বাজারে সামান্য বৃষ্টিতেই জমে প্রায় হাঁটুপানি। পানির সঙ্গে ময়লা-আবর্জনা মিশে অসহনীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তির অন্ত থাকে না সাধারণ মানুষের। প্রতি বছর বাজার ইজারা দিয়ে রাজস্ব আদায় করা হয়ে থাকে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এই বাজারে উন্নত ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই। পানি নিষ্কাশনের জন্য যে ছোট ড্রেনেজ ব্যবস্থা রয়েছে তাও ভেঙে পড়ে ময়লা-আবর্জনায় বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়াও বিভিন্নস্থানে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়ার কারণে প্রতি বছরই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পানিতে ময়লা-আবর্জনা জমে থাকায় দুর্গন্ধসহ পরিবেশ দুষণ হচ্ছে প্রতিনিয়ত। প্রাচীন এই বাজারের ঐতিহ্য ফিরে আনতে কিছুদিন আগে স্থানীয় সংসদ সদস্য ব‍্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বাজারটি ব‍্যবসায়ীদের জন্য টোল মুক্ত ঘোষণা করেন।

বাজারে আসা ভোক্তা মজনু মিয়া বলেন, এই বাজারটি অনেক পুরাতন। প্রতিবছর সরকারিভাবে ডাক হয়। তবে নেই উন্নয়নের চেষ্টা। এই বর্ষা মৌসুমে বাজারের প্রতিটি গলি পানির নিচে ডুবে থাকে। এমতাবস্থায় কেনাকাটা করা খুবই কষ্ট হয়। এ সমস্যার সমাধান করতে হলে বাজারে বড় করে ড্রেন করার প্রয়োজন রয়েছে।

এ বাজারের ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বাজারের ড্রেনেজ ব্যবস্থা চরম খারাপ অবস্থায় রয়েছে। যার কারণে প্রতি বছর ব্যবসায়ীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্নিষ্টদের প্রতি জোর দাবি করছি।

এ বিষয়ে গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ব‍্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ব‍্যবসায়ীদের সুবিধার্থে কিছুদিন আগে আমি ব‍্যক্তিগত তহবিল থেকে বাজারের ডাক করা ইজারা পরিশোধ করে বাজারটি খাজনা মুক্ত করে দেই। সেই সঙ্গে ড্রেনেজ ব‍্যবস্থার জন্য খুব শিগগির প্রয়োজনীয় ব‍্যবস্থা গ্রহণ করা হবে

Jamie Belcher

info@jagobahe24.com

News portal manager

Follow Me:

Comments