সারাদেশ

রংপুরে বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর ও কৃষক সংগঠনের বিক্ষোভ সমাবেশ এবং স্মারকলিপি পেশ

রংপুরে বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর ও কৃষক সংগঠনের বিক্ষোভ সমাবেশ এবং স্মারকলিপি পেশ। গতকাল ৫ জুন ২০২৩,সোমবার কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর ও কৃষক সংগঠন,রংপুর জেলা শাখার উদ্যোগে কাচারীবাজারে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের জেলা আহ্বায়ক কমরেড আনোয়ার হোসেন বাবলুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সদস্যসচিব আহসানুল আরেফিন তিতু, সংগঠক সিদ্দিক মিয়া,দেলোয়ার হোসেন প্রমূখ।সমাবেশে কমরেড আনোয়ার হোসেন বাবলু বলেন,বাংলাদেশের শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ কৃষির সাথে যুক্ত। স্বাধীনতার ৫২ বছরে পুঁজিবাদী শ্রেনির স্বার্থ রক্ষাকারী সরকারগুলোর শাসনে এদেশের কৃষি- কৃষক ধ্বংস করে দিয়েছে।কৃষিপ্রধান দেশকে কৃষিপণ্যের আমদানি নির্ভর দেশে পরিণত করেছে।ফলে ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধ হলে দেশের মানুষ খাদ্য সংকটে পড়ে।এ অবস্থা থেকে দেশকে বাঁচাতে হলে কৃষি - কৃষক বাঁচাতে হবে। আর কৃষি-কৃষককে বাঁচাতে হলে বাজেটে উন্নয়ন অংশের ৪০ ভাগ কৃষি খাতে বরাদ্দ করতে হবে এবং মানুষের খাদ্য চাহিদা পুরনের জন্য কৃষি উপকরণ ও ফসলের বাজারজাতকরণের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নিতে হবে।সেই সাথে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমানো, ১০টাকায় ওএমএস এর চাল,শহরে কমদামে পর্যাপ্ত টিসিবি কার্যক্রম সারা বছর চালু রাখা, দলীয়করণ-হয়রানি বন্ধ করা, আর্মির রেটে রেশন।ধান ,ভুট্টা, আলুসহ সকল কৃষি ফসলের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত, সরকারি উদ্যোগে ক্রয় কেন্দ্র খোলা ইউনিয়নে খাদ্য গুদাম,জেলায় হিমাগার নির্মাণ।কৃষি ঋণ মওকুফ করা, সার্টিফিকেট মামলা প্রত্যাহার, বিনাসুদে সহজ শর্তে ঋণ দান,এনজিও মহাজনি ঋণের তীব্র, অমানবিক শোষণ জুলুম আইন করে নিষিদ্ধ করা, কিস্তির হয়রানি বন্ধ। সকল বয়স্ক, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা ও প্রতিবন্ধীদের মাসিক ভাতা ৫০০০টাকা দেয়া,এলাকায় এলাকায় সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়া প্রতারক চক্রকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।ইউনিয়ন হেলথ সেন্টারে এমবিবিএস ডাক্তার, নার্স, নিয়োগসহ পর্যাপ্ত ঔষধ সরবরাহ করতে হবে। ভূমি অফিস, রেজিষ্ট্রি অফিস, ইউনিয়ন/পৌরসভা, তথ্য অফিস,থানা সহ সকল সরকারি অফিসে ঘুষ-দুর্নীতি, হয়রানি বন্ধ,জন্মনিবন্ধন,মৃত্যু সনদ,জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে হয়রানি দুর্নীতি বন্ধ। ক্ষেত মজুরদের সারা বছর কাজের নিশ্চয়তা, ১২০দিনের কর্মসৃজন টিআর,কাবিখা-কাবিটা চালু। হাটে হাটে ইজারাদারি জুলুম বন্ধ, সরকারি টোল চার্ট লাগানো, অনিয়ম দুর্নীতি হয়রানি বন্ধ করা। মাদক, জুয়া, পর্নোগ্রাফি বন্ধ করে সামাজিক অবক্ষয় রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ,ওয়াজ মাহফিল, সভা-সমাবেশে নারী বিদ্বেষী-অবমাননাকর বক্তব্য আইন করে নিষিদ্ধ, নারী-শিশু নির্যাতন, বাল্য বিবাহ বন্ধ করতে হবে। সদস্যসচিব আহসানুল আরেফিন তিতু বলেন- পল্লী বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিং বন্ধ, ভূতুরে বিল,দুর্নীতি, হয়রানি বন্ধ করে বিনা পয়সায় সংযোগ দেয়া, মিটার ভাড়া বাতিল করতে হবে। খাস জমি উদ্ধার করে প্রকৃত ভূমিহীনদের মাঝে বন্টন করে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। বেকার সমস্যার সমাধানে জেলায় জেলায় কৃষি ভিত্তিক সরকারি শিল্প কারখানা নির্মাণ, বন্ধকৃত পাটকল, চিনি কল অবিলম্বে চালু করতে হবে। নদী ভাঙ্গন ও বন্যা সমস্যার স্থায়ী সমাধান, ইকোনমিক জোন,পাওয়ার প্লান,ইট ভাটার নামে কৃষি জমি ধ্বংস বন্ধ করতে হবে।হাটে হাটে ইজারাদারি জুলুম বন্ধ, সরকারি টোল চার্ট লাগানোর দাবি জানান। সমাবেশ শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে অর্থ মন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

Jamie Belcher

info@jagobahe24.com

News portal manager

Follow Me:

Comments