সারাদেশ

ইজারা ছাড়াই ঋষিঘাট ও হাজির ঘাটে টোল আদায়!

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃ
গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের চকবালা ঋষির ঘাট ইজারা ছাড়াই টোল আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। পৃর্বের ইজারাদার মন্টু মাঝি ও তার ভাই স্বাধীন ঘাটটি ম‍্যানেজ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চালাচ্ছেন। এতে সরকার লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, অবৈধভাবে ওই খেয়াঘাট চালছে । পারাপারে অতিরিক্ত অর্থও নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তারা। তবে প্রায় দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও চেয়ারম্যান কিংবা কর্তৃপক্ষ কোন ব‍্যবস্থা গ্রহণ করছেন না। তাদের দাবী ঘাটটির মালিকানা জেলা পরিষদ নিলে সরকারের রাজস্বে বাড়বে লক্ষ লক্ষ টাকা।
বতর্মান কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের হাজীর ঘাট ও ঋষির ঘাট দুটি খুবই প্রচলিত। ঘাট দুটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার থেকে বারো'শ মানুষসহ বিভিন্ন ছোট যানবাহন পারাপার হয়ে থাকে। ঘাট দুটি দিয়ে দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট,রংপুর জেলার পীরগঞ্জ,গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মানুষ যাতায়াত করে। এবং তাদের কৃষি পণ‍্য আনা-নেওয়াসহ হাট-বাজারগুলোতে কেনাবেচা করে থাকেন।
কিছু দিন আগেও চেয়ারম্যান গ্রাম পুলিশ দিয়ে ঋষির ঘাটের টোল আদায় করেছিল বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়। পরে পৃর্বের ইজারাদার মন্টু মাঝি ও তার ভাই স্বাধীনের সঙ্গে সমঝোতায় ১৬ হাজার টাকার ডিসিআর কেটে দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়ে ডিসিআর কেটে দেননি বলে ৭জুন সরেজমিনে গেলে স্বাধীন মাঝি জানান,একই অবস্থা হাজীর ঘাটেও, এখানে পাতানো লোক দাঁড় করিয়ে দিয়ে তিন লাখ টাকার ঘাট আশরাফ আলী ডনকে মাত্র ১৯ হাজার টাকায় দেওয়া হয়েছে।
কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের জনগুরুত্বপূর্ণ এ ঘাট দুটি জেলা পরিষদের আওতায় থাকলে সরকার লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্বে পেত। জেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, ২০ হাজার টাকা পযর্ন্ত খেয়াঘাট ইউনিয়ন পরিষদ ইজারা দিতে পারবে। এর বেশি হলে জেলা পরিষদের কাছে মালিকানা হস্তান্তর করতে হবে।
ইউনিয়ন পরিষদের বাসিন্দা অনেকেই বলেন, প্রতিদিন খেয়াঘাট দুটি দিয়ে পারাপার হয়ে বিভিন্ন উপজেলায় ১০ থেকে ২০ টাকা টোল দিতে হয়। মোটরসাইকেল পার করতে মানুষসহ ২০ টাকা লাগে। এসব খেয়াঘাটে প্রতিদিন হাজারেরও বেশি মানুষ পারাপার হন।
ঋষির ঘাটের পৃর্বের ইজারাদার এবং বতর্মানে সমঝোতার চুক্তিতে ঘাট ইজারাদার স্বাধীন মাঝি জানান, ম‍্যানেজ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ঘাট ইজারা নিয়েছি।
 কিশোরগাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক জানান, আমার টাকা পয়সার প্রতি লোভ নেই। ঘাট কি হয় হোক! সরকার রাজস্ব হারাচ্ছেন এমন প্রশ্ন করলে চেয়ারম্যান চুপ থাকেন?পরে বলেন,ডাককারী না থাকলে আমার কি করার আছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান বলেন,ওই এলাকার মানুষ কেউ যদি আমার বরাবরে অভিযোগ দেন,তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথাযথ ব‍্যবস্থা গ্রহণ করব।

Jamie Belcher

info@jagobahe24.com

News portal manager

Follow Me:

Comments