September 08, 2024
সারাদেশ

গাইবান্ধার তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইজিপির কাছে অভিযোগ

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃ
গাইবান্ধা সদর থানার এসআই ছানোয়ার, এএসআই নুরুন্নবী ও রুবেলের বিরুদ্ধে পুলিশ সদর দপ্তরের ‘আইজিপি’র কমপ্লেইন সেলে’ লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ জুন) দুপুরে ডাকযোগে এ অভিযোগ করা হয়। অভিযোগে রাস্তায় স্যালো ইঞ্জিন চালিত অটো আটকিয়ে টাকা দাবি ও ব্যবসায়ীকে লাথি মেরে থানায় নেওয়া এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে অসাদাচারণের কথা উল্লেখ করা হয়।

গাইবান্ধা সদর থানায় অপমানের শিকার প্রেসক্লাব গাইবান্ধার সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট জাভেদ হোসেন এ অভিযোগ করেন।আইজিপির দপ্তরে করা অভিযোগে বলা হয়, ১১ জুন সন্ধ্যার পর গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশ একটি স্যালো ইঞ্জিন চালিত ভটভটি ও কিছু ক্রয়কৃত পুরাতন ব্যাটারি তুলসিঘাট এলাকা থেকে থানায় নিয়ে আসে। এ সময় আলী নামের একজন পুরাতন ব্যাটারি ব্যবসায়ী ফোন করে সাংবাদিক জাভেদ হোসেনকে থানায় আসার জন্য অনুরোধ করে। জাভেদ হোসেন বিষয়টি জানার জন্য আলীর ফোনটা সদর থানার ডিউটি অফিসারকে দিতে বলে। প্রথমে ডিউটি অফিসার ফোনটি নিতে অপরগতা প্রকাশ করলেও পরবর্তীতে ফোনটি নিয়ে তিনি সাংবাদিক জাভেদের সঙ্গে কথা বলেন। ডিউটি অফিসারের দায়িত্বে থাকা এসআই ছানোয়ারের কাছে কি কারনে পুরাতন ব্যাটারিগুলো থানায় নিয়ে আসা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি ব্যবসায়ী আলীর ওপর ক্ষিপ্ত হয়। যা জাভেদ হোসেন মোবাইল ফোনে শুনতে পায়। এক পর্যায়ে সাংবাদিক জাভেদ হোসেনকে কোনো তথ্য দিতে পারবেন না বলে মোবাইল ফোনটি এসআই ছানোয়ার আলীর দিকে ছুঁড়ে মারেন।অভিযোগে আরও বলা হয়, এ ঘটনায় প্রেসক্লাব গাইবান্ধার সভাপতি খালেদ হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি রবিন সেনের সঙ্গে আলোচনা করে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি শেখ রোহিত হাসান রিন্টু, নিরাপদ চিকিৎসা চাই এর সুমনসহ একটি প্রতিনিধি দল থানায় গিয়ে ওসি তদন্ত ও ওসি ইনচার্জকে না পেয়ে দায়িত্বরত একজন পুলিশ কন্সস্টেবলের কাছে জানতে পারে পুরাতন ব্যাটারিগুলো এএসআই নুরুন্নবী ও এএসআই রুবেল নিয়ে এসেছেন। তারা আরও জানতে পারে ব্যাটারি ব্যবসায়ী জুয়েলকে মারধর করে থানায় ভিকটিম রুমে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে।

সাংবাদিক জাভেদ থানা থেকে নম্বর নিয়ে এএসআই নুরুন্নবীকে ফোন দিলে তিনি তাকে থানার ভেতরে পুলিশ ক্লাবে ডেকে নেন। পুলিশ ক্লাবে গিয়ে ব্যাটারি ও ব্যাটারি ব্যবসায়ীকে কেন ধরে নিয়ে এসেছেন এমন প্রশ্ন করলে এএসআই নুরুন্নবী উগ্র মেজাজে বলেন, ভটভটি চালককে ডাকেন। তার কথামতো ভটভটি চালককে ডাকলে তিনি ভটভটি চালকের কাছেই বিষয়টি শুনতে বলেন। ভটভটি চালক আরিফ ইসলাম ঘটনার বর্ণনা করতে গিয়ে যখন ২০ হাজার টাকা দিলে ছেড়ে দেব বলেছে তখন এএসআই নুরুন্নবী ও এএসআই রুবেল উত্তেজিত হয়ে ভটভটি চালককে ধাক্কা মারেন। এবং বলেন আপনাদের যা যা শোনার ওসির কাছে শোনেন আর যা পারেন করেন।

Jamie Belcher

info@jagobahe24.com

News portal manager

Follow Me:

Comments