সারাদেশ

গাইবান্ধায় চাহিদার চেয়ে বেশি ২১ হাজার কোরবানির পশু

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃ ঈদ উল আজহাকে কেন্দ্র করে গাইবান্ধায় চাহিদার চেয়ে বেশি কোরবানির পশু প্রস্তুত রয়েছে। শেষ মুহূর্তে পশুর পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলার খামারিরা। তবে পশু লালন-পালনের ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় দাম নিয়ে শঙ্কায় আছেন তারা।

জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্যানুযায়ী, জেলায় কোরবানির জন্য ১ লাখ ৩৮ হাজার ২৭৭টি পশু প্রস্তুত রয়েছে। তবে জেলায় চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৭০ পশু। এরমধ্যে গরু, ছাগল ও ভেড়া রয়েছে। অতিরিক্ত ২১ হাজার ৫০৭টি পশু দেশের অন্য জেলার চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখবে।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলার সাত উপজেলার ছোট-বড় বিভিন্ন খামারে পালন করা হচ্ছে কোরবানির পশু। ২৩টি স্থায়ী ও ২২টি অস্থায়ী পশুর হাটের পাশাপাশি আটটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কোরবানির পশু বিক্রি হচ্ছে। সরাসরি খামার বা কৃষকের বাড়িতে গিয়েও কিনছেন অনেকে।পশু কোরবানি দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া আব্দুর রহমান সরকার বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে এককভাবে কোরবানি দিয়ে আসছি। তবে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় সংসারে আয়ের তুলনায় ব্যয় বেড়েছে। এজন্য এবার ঈদে যৌথভাবে কোরবানি দিতে হবে।’গাইবান্ধা সদর উপজেলার খামার মালিক মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘আসন্ন কোরবানিতে আমার খামারে ২২টি দেশি গরু বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। দুই বছর আগে করোনা পরিস্থিতে এ ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আপ্রাণ চেষ্টা করছি। তবে গো-খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে কোরবানির গরুর ন্যায্য দাম নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।’জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাছুদার রহমান সরকার বলেন, কৃষক-খামারিরা যাতে ভালো দাম পান সেজন্য তাদের প্রণোদনা দেওয়াসহ অন্যান্যভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে।তিনি আরও বলেন, কোরবানি পশুর হাটগুলো জমতে শুরু করেছে। হাটগুলোতে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মেডিকেল দল রয়েছে। আশা করছি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়েও দেশের বিভিন্ন জায়গায় চাহিদা পূরণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে এখানকার পশু।

Jamie Belcher

info@jagobahe24.com

News portal manager

Follow Me:

Comments