September 08, 2024
সারাদেশ

ফুলছড়ির হাট কাঁপাতে প্রস্তুত ১৮ মণের ‘লাল বাদশা’

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃআসন্ন কোরবানির ঈদ উপলক্ষে এরই মধ্যে শুরু হয়েছে পশু বেচার হাট। আর এ সময় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দেখা মেলে বড় আকার ও বাহারি নামের গরুর। ঈদ এলেই ভালো দামের আশায় সযত্নে লালন-পালন করা এসব গরু জনসম্মুখে নিয়ে আসেন খামারিরা। এসব বিশালাকৃতির গরু ও দাম নিয়ে বেশ আগ্রহ থাকে সাধারণ মানুষের। এবার মানুষের আগ্রহের মধ্যে থাকছেন গাইবান্ধার ‘লাল বাদশা’।

‘লাল বাদশা’র ঠিকানা গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর উড়িয়া (কটিয়ার ভিটা) গ্রামের কটিয়ার ভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সুশীল মহুরির বাড়ি। মালিক নিশি চন্দ্র দাস পরম যত্নে বড় করে তুলেছেন তাকে। জানা গেছে, ১৮ মণ ওজনের ‘লাল বাদশা’ সাড়ে সাত লাখ টাকায় বিক্রি করা হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ‘লাল বাদশা’র দৈহিক উচ্চতা ও গড়নে যেমন, তেমনি তার চলাফেরা। শান্ত স্বভাবের এই লাল বাদশা প্রায় ৯ ফুট ২ ইঞ্চি লম্বা ও প্রস্থ ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি উচ্চতা। তাকে নিয়ে এরই মধ্যে এলাকায় হইচই পড়ে গেছে। শাহীওয়াল জাতের ১৮ মণের বেশি ওজনের এই গরু নিয়ে মানুষের আগ্রহের কোনো কমতি নেই। লাল বাদশার দাম হাঁকছেন সাড়ে ৭ লাখ টাকা। তবে এখন পর্যন্ত খামারে আসা ক্রেতারা সর্বোচ্চ সাড়ে ৪ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকা দাম বলেছেন। ন্যায্যমূল্য পেলেই গরুটি বিক্রি করবেন নিশি চন্দ্র।খামারি নিশি চন্দ্র জানান, বিশালাকৃতির গরু 'লাল বাদশা' মোটাতাজাকরণে কোনো ওষুধ, ইনজেকশন কিছু ব্যবহার করা হয়নি। প্রাকৃতিক উপায়েই তাকে বড় করা হয়েছে। দিনে দু’বার গোসল করানো হয় লাল বাদশাকে। সার্বক্ষণিক চলে ফ্যান। খাবারের তালিকায় রয়েছে- ঘাস, খড়, ভুট্টা ভাঙা, বিভিন্ন ভুসি, সরিষার খৈল, ধানের কুড়া, আপেল, কলা, কমলাসহ সব দেশীয় খাদ্য। লাল বাদশার প্রতিদিনের খাবারে ব্যয় হয় ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা।খামারি নিশি চন্দ্র দাসের স্ত্রী স্কুল শিক্ষিকা লিপি রানী বলেন, ১ বছর ২ মাস ধরে লাল বাদশাকে নিজের সন্তানের মতো করে লালন-পালন করেছি। মানুষ সন্তানকে যেমন আগলে রাখে, তেমনিভাবে লাল বাদশাকে রেখেছি। নিজের হাতে খাইয়েছি, গোসল করিয়েছি, যত্ন করেছি। এখন বিক্রি করে দিতে হবে ভেবে সন্তান হারানোর মতো কষ্ট পাচ্ছি।লাল বাদশা মালিক নিশি চন্দ্র বলেন, গরুটি শান্ত মেজাজের। অনেকটাই সন্তানের মতো তাকে লালনপালন করেছি। ওজন প্রায় ১৮ মণ। আর লাল বাদশার দাম চাওয়া হচ্ছে সাড়ে সাত লাখ টাকা। ন্যায্যমূল্যে পেলে বাড়ি থেকে বিক্রি করে দেবো। যদি বাড়িতে বিক্রি না হয় তাহলে হাঁটে তুলতে হবে। আমার স্বপ্ন কোরবানিতে লাল বাদশাকে বিক্রি করে বড় আকারের একটা গরুর খামার দেব।ফুলছড়ি উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জহিরুল ইসলাম বলেন, চাহিদার তুলনায় এ উপজেলায় কোরবানির পশু বেশি প্রস্তুত রয়েছে। এরমধ্যে খামারি নিশি চন্দ্র ১৮ মণ ওজনের বেশি লাল বাদশাকে কোরবানি উপলক্ষে বিক্রির জন্য লালন-পালন করেছেন। আমরা খামারিদের সবসময় পরামর্শ দিয়ে আসছি। ‘লাল বাদশা’র মালিক যেন ন্যায্যমূল্য পায়, সেজন্য সবধরনের সহযোগিতা করা হবে।

Jamie Belcher

info@jagobahe24.com

News portal manager

Follow Me:

Comments