September 16, 2024
সারাদেশ

পলাশবাড়ীর বেতকাপা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে তদন্ত

গাইবান্ধাঃ গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার বেতকাপা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্নসাৎ, জন্মনিবন্ধনে ও গ্রাম আদালতে অতিরিক্ত টাকা আদায়,ওয়ান পার্সেন্টের টাকা,ভিজিডির তালিকায় অনিয়ম ভিজিএফএর চাল কম দেওয়াসহ নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ জুন) সকাল ১১ টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদে এ তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে গত ৩ এপ্রিল দুর্নীতি ও নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তার বিরুদ্ধে অনাস্থা জানায় ওই পরিষদের ৯ জন ইউপি সদস্য। এরই প্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহঃ মাহতাব হোসেন তদন্ত করেন।
অভিযোগকারি ইউপি সদস্যরা বলেন, ১১ টি অভিযোগের মধ্যে প্রায় সব গুলোই প্রমাণিত হয়েছে। আমরা চাই, জনস্বার্থ সুরক্ষায় বিতর্কিত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বরখাস্তসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
তদন্তে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে স্বাক্ষ্য দেয় ভুক্তোভোগীরা। ২০২১-২২ অর্থ বছরে স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর কর(১%) এর উত্তোলনকৃত অর্থ ভূয়া কার্যক্রম দেখিয়ে অর্থ আত্নসাৎ।
জম্ম নিবন্ধন সরকার নির্ধারিত ফি নির্ধারণের নিয়ম থাকা সত্বেও অতিরিক্ত ফি আদায়।
২০২১-২২ অর্থ বছরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বরাদ্দকৃত ঈদ উপহার ভিজিএফ এর ৪ হাজার ২শ ৯১ জন হতদরিদ্রের মাঝে জনপ্রতি ১০ কেজি করে চাল দেওয়ার নিয়ম থাকলেও সেখানে জনপ্রতি ৮ কেজি চাল বিতরণ করেন চেয়ারম্যান।
গ্রাম আদালতের ফি ১০/২০ টাকা,সেখানে বাদী বনাম বিবাদী উভয় পক্ষের নিকট থেকে ২২০ টাকা করে ৪৪০ টাকা নেওয়া হয়। পাশাপাশি গ্রাম আদালতের বিচার কার্য নিজ বাড়ীতে করে থাকেন।
ইউনিয়ন পরিষদের মিটিং না করে বাড়িতে ইউপি সদস্যদের ডেকে প্রভাব খাটিয়ে সাক্ষর আদায় করেন। এবিষয়ে ইউপি সদস্যরা জিডি করেন।
২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ভিজিডি চক্রে অন্তভূক্তির তালিকা অনিয়ম করে অর্থের বিনিময়ে বিত্তশালী,সরকারি চাকুরীজীবি এবং ব‍্যবসায়ীদের দেওয়া হয়েছে।ইউনিয়ন পরিষদের ট‍্যাক্সের টাকা ব‍্যাংকে জমা না রেখে নিজের মতো করে খরচ করে আত্নসাৎ করেন। টিসিবির সুবিধাভোগীর নামীয় কার্ডের মাল নিজের কাছে রেখে কার্ডধারীদের না দিয়ে চেয়ারম্যান আত্নসাৎ করেন।
২০২১-২২ অর্থ বছরে অতিদরিদ্রদের কর্মসংস্থান কর্মসূচির ২৭ নং ক্রমিক সোহাগ মিয়া প্রথম পর্যায় কাজ করে টাকা পায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে তাকে বাদ দিয়ে আজিজুল নামে আর একজনের নাম দিয়ে চেয়ারম্যান টাকা তুলে খায় বলে লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়।
চেয়ারম্যান সাতার পাড়ার মৌজার বকুলের বাড়ীর সামনের রাস্তার ১৬ টি গাছ ও সাতার পাড়া বটের তলের আরও একটি গাছ সরকারি অনুমতি ছাড়াই ১ লাখ ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করে আত্নসাৎ করেন।
চেয়ারম্যান নিজ ক্ষমতা বলে শ‍্যামলী নামের এক মহিলার নাম ৪০ দিনের কর্মসূচিতে দিয়েছেন। আবার এলজিইডির আওতায় আরএমপি (পাকা রাস্তায় মাটির কাজ) মহিলার তালিকাতেও তার নাম দিয়ে টাকা উত্তোলন করে ভাগ বাটোয়ারা করে নিচ্ছেন।
এদিকে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পূর্বের জিআর মামলা এবং ইউপি সদস্যাকে মারধরের জিডি থানায় রয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তা বলেন,আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলো সব মিথ্যা ও বানোয়াট। আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহতাব হোসেন বলেন,আমি আজ তদন্ত করে পক্ষ বিপক্ষের কথা শুনে লিখিত কাগজপত্র গ্রহণ করেছি এবং প্রতিবেদন জমা দেব। তদন্তে কি পেয়েছি না পেয়েছি তা বলা যাবে না।

Jamie Belcher

info@jagobahe24.com

News portal manager

Follow Me:

Comments