কৃষি

ভালো ফলন হলেও দাম না থাকায় হতাশায় খানসামা উপজেলার রসুন চাষীরা

এস এম.রকি, খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ শস্য ভান্ডার খ্যাত উত্তরের জেলা দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় এবছর সাদা সোনা খ্যাত রসুনের ভালো ফলন হলেও সঠিক দাম না থাকায় রসুন চাষীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। গত বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে রসুনে উৎপাদন খরচ বাড়লেও, বাড়েনি রসুনের দাম। কাঙ্খিত দাম না হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছে রসুন চাষীরা। খানসামা উপজেলায় রসুনের উৎপাদন অনেক বেশি হওয়ায় এলাকার চাহিদা মিটিয়ে অন্যান্য জেলায় সরবরাহ করা হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার আগ্রা, গুলিয়ারা ও গোয়ালডিহি সহ প্রায় সব গ্রামেই রসুন চাষ করা হয়েছে। এখন কৃষকরা রসুন তোলা,বাজারজাত করণ ও সংরক্ষণে ব্যস্ত সময় পার করছে।

দেখা যায়, উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ রসুনের হাট কাচিনীয়া এবং পাকেরহাট ও ভুল্লারহাটে রসুন বিক্রি করতে এসে ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছে চাষীরা। ভালো দাম না থাকায় চাষীদের চোখে-মুখে হতাশার ছাপ।

উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি মৌসুমে এই উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নে প্রায় ২৯৫০ হেক্টর জমিতে রসুন চাষ করা হয়েছে। যা গত বছরে ছিল ৩৭৫০ হেক্টর। গত মৌসুমেও রসুনের ভালো দাম না থাকায় এবছর কমেছে রসুনের আবাদ।

জানা যায়, প্রতি বিঘা জমিতে রসুন চাষে বীজ, সার, সেচ, হাল ও পরিচর্যা বাবদ খরচ হয় প্রায় ৪০-৫০ হাজার টাকা। আর প্রতি বিঘায় ফলন হয় ৪৫-৬০ মণ। প্রতি মণের বর্তমান বাজার মূল্য ৭'শ থেকে ১হাজার টাকা। সে হিসেবে এখন লোকসানে আছে লাভের আশায় থাকা রসুন চাষীরা।

গোয়ালডিহি গ্রামের কৃষক নুরুল ইসলাম বলেন, গত দুই বছর ধরে রসুনের দাম আর আগের মতো নেই। আগে আমরা রসুন পাইকারি বাজারে দুই থেকে তিন হাজার টাকা মণ বিক্রি করতাম। এখন মাত্র ৮০০-১০০০ টাকা মণ বিক্রি করছি। এতে খরচের টাকা তোলা নিয়েই সন্দেহ।

রসুন চাষি তুহিন ইসলাম বলেন, রসুনের ফলন ভালো হয়েছে। কিন্তু বাজার নেই। রসুনের বাজার না থাকায় আমাদের ক্ষতি হচ্ছে। কিন্তু আমরা তো কৃষক। আমাদের কৃষিকাজ করেই সংসার চলে। কিন্তু এমন লোকসান হলে সংসার কিভাবে চলবে?

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ বাসুদেব রায় বলেন, এই অঞ্চল রসুন উৎপাদনের জন্য উপযোগী। সেই জন্য কৃষকদের পাশে কৃষি বিভাগ সর্বদা মাঠে রয়েছে। তবে ন্যায্য দাম না পাওয়ায় গত বছরের তুলনায় এবার রসুনের আবাদ কমেছে প্রায় এক হাজার হেক্টর। তবে চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভালো ফলন হয়েছে। আশা রাখি সময়ের সাথে রসুনের দাম বৃদ্ধি পাবে। এতে কৃষকরা আর্থিক লাভবান হবে।

Jamie Belcher

info@jagobahe24.com

News portal manager

Follow Me:

Comments