সারাদেশ

ফুলছড়িতে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে ধর্মালম্বীদের অষ্টমী স্নানোৎসব

গাইবান্ধাঃকরোনার দু’বছর পর গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে হিন্দুধর্মাবলম্বীরা আনন্দঘন পরিবেশে শনিবার (৯ এপ্রিল) অষ্টমীর স্নানোৎসবে অংশগ্রহন করেছে। এতে বহু ভক্তের সমাগম ঘটে। স্নানোৎসবে অংশ নিতে পেরে তারা খুশি। পঞ্জিকামতে চৈত্র মাসের অষ্টমী তিথিতে হিন্দু স¤প্রদায়ের নারী-পুরুষরা পবিত্র অষ্টমী স্নানে মেতে ওঠেন। শুক্রবার রাত ৯টা ১১ মিনিটে পুণ্যস্নানের লগ্ন শুরু হয়ে চলে শনিবার রাত ১১টা ৮ মিনিট পর্যন্ত।গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তামুখঘাট ও বালাসীঘাট এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে প্রতি বছরের মতো এবারও পাপ মোচনের আশায় পূণ্যার্থীরা আদি ব্রহ্মপুত্র নদে স্নানে অংশগ্রহন করে। স্থানীয় হিন্দু স¤প্রদায়ের আয়োজনে এ উৎসবে যোগ দেয় জেলা ও জেলার বাইরে থেকে হাজার হাজার নারী, পুরুষ ও শিশু।


মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য মাধব চন্দ্র দত্ত সহ একাধিক ব্যক্তিরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে এই নদীর পাড়ে আমরা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছি। এখানে জেলার সর্বস্তরের হিন্দু স¤প্রদায়ের প্রায় ৫০ হাজার পুণ্যার্থী অংশগ্রহণ করেন। ভোরবেলা থেকেই বিভিন্ন এলাকার হিন্দুধর্মাবলম্বীরা পাপমোচনের জন্য পবিত্র মন্ত্র উচ্চারণ করে কলার নৌকায় ফুল-ফল ভাসিয়ে দেন গঙ্গাদেবীর উদ্দেশ্যে। স্নান শেষে পুণ্যার্থীদের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।ভক্তগণের বিশ্বাস এ সময় ব্রহ্মপুত্র নদে স্নান খুবই পুণ্যের, এ স্নানে ব্রহ্মার সন্তুষ্টি লাভ করে পাপমোচন হয়। এই স্নানই অষ্টমী স্নান নামে অভিহিত। অধিকাংশ স্থানীয় লোকজনের বিশ্বাস, চৈত্রের অষ্টমীতে জগতের সকল পবিত্র স্থানের পুণ্য ব্রহ্মপুত্রে মিলিত হয়। নদীর পানি স্পর্শমাত্রই সকলের পাপ মোচন হয়। যে এই পবিত্র পানিতে স্নান করে সে চিরমোক্ষ লাভ করে।

অষ্টমী স্নান উপলক্ষে নদীর ধারে প্রতিবছরই মেলা বসে। মেলায় লোকজ পণ্য, শিশুদের খেলাধুলার জিনিসপত্র, কানমুচুরি, বাতাসা, জিলাপী, গুরের বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রীর পসরা সাজিয়েছে দোকানিরা। এছাড়া জেলা ও জেলার বাহির থেকে বড় বড় মাছের বাজার বসেছে। এবার স্নানে অংশ নিতে আসা মানুষদের সুবিধার জন্য স্থানীয় প্রশাসন বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। নেয়া হয় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

Jamie Belcher

info@jagobahe24.com

News portal manager

Follow Me:

Comments