‘বলাকার পাখা দিয়ে’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃগাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার নিভৃতচারী লেখক, গীতিকার ও অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুস সামাদ মিঞার আধুনিক বাংলা গানের বই ‘বলাকার পাখা দিয়ে’র মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।সম্প্রতি সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে ‘বলাকার পাখা দিয়ে’ গানের বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। সুপ্রকাশ সাহিত্য সংসদ এ মোড়ক উন্মোচনের আয়োজন করে।বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সঞ্জয় সরকারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বইটির লেখক মো. আব্দুস সামাদ মিঞা, লেখক ও গবেষক ড. মো. শফিউল ইসলাম ভূঁইয়া, উপাধ্যক্ষ নাসরীন সুলতানা রেখা, সুসাস সম্পাদক ও লেখক কঙ্কন সরকার, সাংবাদিক আব্দুল মান্নান আকন্দ, ছড়াকার কুশল রায়, গল্পকার হাসান রোকন, উত্তরণ পাঠাগার সংগঠক মো. আরিফুর রহমান আরিফ, সাহিত্যপ্রেমী এরশাদুল আলম, জামান রাজিব, পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা সুকুমার রায়, কবি হোসেন ফারুক।অনুষ্ঠানে ছড়া পাঠ করেন অরবিন্দ মোদক এবং কণা। গান পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী বিশ্বানাথ দাস, পূর্ণিমা দাস এবং পারমিতা রায় ছোঁয়া।
নিভৃতচারী লেখক মো. আব্দুস সামাদ মিঞা গান শোনা-গান চর্চা থেকে গান লেখাও শুরু করেন। আধুনিক ও ধ্রুপদী সংগীত তার প্রিয়। একসময় বেশ কিছু গান লিখে রাখেন খাতায়। গানগুলোতে প্রেম, ভালোবাসা, বিরহ যেন কথা বলে। অপূর্ব শব্দ আর ছন্দের সম্মিলন আছে গানে।
নানা ব্যস্ততায় কিছু গান লেখার পর বন্ধ থাকে গানের খাতা; কিন্তু মন পড়ে থাকে গানে। তাই তো সময়ের ডাকে সে মন উড়ে এসে আবারও সেই খাতায় লিপিবদ্ধ হয় সুর ও সংগীতে। একের পর এক তৈরি হতে থাকে রোমান্টিক, বিরহী গান। এর মধ্য থেকে কয়েকটি গান সুর হয়ে বের হয় শিল্পীর কণ্ঠে। ভালোবাসা পায় সংগীতমুগ্ধ মানুষের।‘বলাকার পাখা দিয়ে’ গানটি সংগীতপ্রেমীদের অন্তরে গেঁথে আছে। বেতারেও তার গান প্রচার হয়েছে বহুবার; কিন্তু তিনি যে নিভৃতচারী ও প্রচারবিমুখ! তাই তো খাতাবন্দি হয়ে থাকে মুক্তদানাগুলো। যা দেখলেই বোঝা যায়, তিনি সংগীতকে ভালোবাসেন পুরোপুরি মন থেকে। সবার বিশ্বাস, আধুনিক গানগুলো শিল্পীর কণ্ঠ থেকে বের হলে চিরকালীন বাংলা গানের তালিকায়ও পিছিয়ে থাকবে না।
মো. আব্দুস সামাদ মিঞা ১৯৪৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি সুন্দরগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা প্রয়াত আব্দুল মজিদ মিঞা। মা মোছা. জুলেখা বেগম। ছাত্রজীবনেই লেখালেখির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। জীবনের শেষপ্রান্তে এসেও ছড়া, কবিতা, রম্যকথিকা ও ছোটগল্প লিখছেন। তিনি একজন গীতিকার। ২০০৭ সালে সুন্দরগঞ্জ আব্দুল মজিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক হিসেবে সম্মানের সঙ্গে অবসর নেন।
Comments