সারাদেশ

গোবিন্দগঞ্জে ছিনতাই চক্রের ৪ সদস্য কারাগারে

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃগাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় মূলহোতাসহ সংঘবদ্ধ ছিনতাই চক্রের চার সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৭ জুলাই) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাদের গাইবান্ধা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।কারাগারে পাঠানো চার সদস্য হলেন- একই উপজেলার রাখাল বুরুজ দর্গাপাড়া গ্রামের খোকা মিয়ার ছেলে আতোয়ার রহমান বাবু (৩৫), মকবুল হোসেনের ছেলে লিটন মিয়া (৪০), মৃত হায়দার আলী ছেলে আপেল মিয়া (৩২) ও পানিয়া গ্রামের মৃত মোজাহার আলীর ছেলে আবু হোসেন (৪২)।

গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম জানান, গত ২৬ জুন রাত ৯টার দিকে যাত্রী সেজে গোবিন্দগঞ্জের মথুরাপুরের বালুয়া বাজার থেকে লিটু চন্দ্র দাস নামে এক ব্যক্তির ইজিবাইক ভাড়া করেন দুই ব্যক্তি। গন্তব্য একই উপজেলার নাকাইহাট।  

তিনি জানান, ইজিবাইকচালক লিটু চন্দ্র একই উপজেলার তালুককানুপুর ইউনিয়নের মথুরাপুরের গ্রামের নিমাই চন্দ্র দাসের ছেলে। এরপর রাত আনুমানিক পৌনে ১০টার দিকে নাকাইহাটের দুর্গাপুর এলাকায় এলে সেখান থেকে ইজিবাইকটিতে অজ্ঞাতনামা আরও দুই ব্যক্তি ওঠেন। সে সময় চালক লিটুকে যাত্রী সেজে ওঠা চারজন আরও সামনে যেতে বলেন। কিন্তু সন্দেহ হওয়ায় লিটু সামনে যেতে অসম্মতি জানান। এতে যাত্রীবেশী ওই চার ছিনতাইকারী লিটুকে মারধর করে এবং ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে দিয়ে ইজিবাইকটি ছিনতাই করে নিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা তাকে গুরুতর আহতাস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। সেখানে তার অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে লিটু সুস্থ হয়ে বাড়ি এসে ইজিবাইকের সন্ধান করতে থাকেন। একপর্যায়ে গত ৬ জুলাই লিটু উপজেলার রাখালবুরুজ ইউনিয়নের চাঁদপুর সিংগা বাজারের একটি ওয়ার্কশপে ইজিবাইকটির বডির সন্ধান পান। বিষয়টি তিনি থানায় জানালে পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ইজিবাইকের বডিটি জব্দ করে এবং বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িতদের আটক করতে সক্ষম হয়।

ওসি শামসুল আলম আরও জানান, আটক ওই চার আসামি -কীভাবে ছিনতাই করেছিলেন এবং কত টাকায় বিক্রি করেছিলেন সব কিছু পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন। শুক্রবার এ ব্যাপারে লিটু বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

Jamie Belcher

info@jagobahe24.com

News portal manager

Follow Me:

Comments