রাজনীতি

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন নয়, বাতিলের দাবী ৪ ছাত্র সংগঠনের

আজ রবিবার বিকেল ৪.৩০ টায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরার মুক্তির দাবিতে ৪ সংগঠনের (বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জেএসডি), নাগরিক ছাত্র ঐক্য, ভাসানী ছাত্র পরিষদ) বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ডের সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জেএসডি) সভাপতি তৌফিকুজ্জামান পীরাচার সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কারা নির্যাতিত প্রীতম দাশ, নাগরিক ছাত্র ঐক্যের সভাপতি মোশাররফ হোসেন, ভাসানী ছাত্র পরিষদের সভাপতি আহমেদ শাকিল, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক ফারহানা মুনা, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আরমানুল হকসহ ছাত্র নেতৃবৃন্দ।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, “বর্তমান সরকার মানুষকে ভয় দেখিয়ে তার অবৈধ ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখতে চায়। আর সেই অবৈধ ক্ষমতার সবচেয়ে বড় রক্ষাকবচ হলো ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। সরকার এই আইনের মাধ্যমে গণমাধ্যম ও মানুষের কন্ঠকে রোধ করতে চায় কিন্তু মানুষ জেগে উঠছে সামনের দিনে সমস্ত ভয়কে উপেক্ষা করে মানুষ তার সমস্ত অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবে।”

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ড বলেন, “সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে বাংলাদেশে নিরাপরাধ মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে, এমনকি কারা হেফাজতে লেখক মুশতাককে হত্যা করেছে। সারাদেশের বিবেকবান মানুষ, ছাত্র সংগঠন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বারবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের কথা বললেও সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কার্যত বিরোধী মতালম্বী দমন আইনে পরিণত করেছে সরকার। ছাত্র-শিক্ষক-সাংবাদিক সকলকে এই আইনে নিপীড়ন-নির্যাতন করা হয়েছে। ২০১৮ সালে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নামেও এই আইনে মামলা করা হয়েছে। চট্টগ্রামে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে ছাত্র ফেডারেশন, চট্টগ্রাম মহানগরের নেতা মরুফ হোসেন ও আজিউর রহমান আশাফকে গ্রেপ্তার করে নির্যাতন করা হয়েছে। এখন এসে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ও আন্তজার্তিক পক্ষ সমূহের চাপে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের কথা বলছে; আমরা স্পষ্ট বলতে চাই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কোন সংশোধন জনগণ মেনে নিবে না, অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে এবং খাদিজাসহ গ্রেপ্তারকৃত সকলকে মুক্তি দিতে হবে।”

তিনি আরো বলেন, “ফ্যাসিবাদবিরোধী সর্বাত্মক লড়াইয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলসমূহ একদফা ঘোষণা করেছে। সরকারের পদত্যাগ, বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের মুক্তি ও রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের এই একদফাকে আমরা এই মুহুর্তে জনগণের মুক্তির দফা মনে করি। এই একদফাতে আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যত নিরাপদ বলেই আমরা মনে করি। ছাত্র সমাজকে সংগঠিত করে আমরাও এই লড়াইকে আরো শক্তিশালী করবো।”

সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ, নাগরিক ছাত্র ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কারা নির্যাতিত দিদারুল ভূইয়াসহ নেতৃবৃন্দ।

Jamie Belcher

info@jagobahe24.com

News portal manager

Follow Me:

Comments