সারাদেশ

যমুনার ভাঙনে সাঘাটায় ৩ আশ্রয়ণ কেন্দ্রসহ সহস্রাধিক ঘরবাড়ি বিলীন

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃগাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বুকচিরে বয়ে গেছে যমুনা নদী। সম্প্রতি এই নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এরই মধ্যে প্রবল স্রোতে উপজেলায় ৩ আশ্রয়ণ কেন্দ্রসহ প্রায় এক হাজার পরিবারের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। গৃহহারা পরিবারগুলোর জমি না থাকায় এবং অর্থাভাবে বাড়ি-ঘর নির্মাণ করতে না পেরে দুশ্চিন্তায় পড়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উজানের ঢলে গত কয়েকদিন ধরে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে চরাঞ্চলসহ কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বিশেষ করে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের পূর্বাংশে অবস্থিত সব কয়টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এর ফলে এ অঞ্চলের মানুষের স্বাভাবিক চলাচল ব্যহত হচ্ছে। পাশাপাশি নদীর পানির প্রবল স্রোতে সাঘাটা উপজেলার চরাঞ্চলের পাতিলবাড়ি গাড়ামারা, সিপি গাড়ামারা, কানাইপাড়া, নলছিয়া, কালুরপাড়া, কুমারপাড়া, দীঘলকান্দি, হাটবাড়ি, মুন্সিরহাট, মুন্সিরহাট, গোবিন্দপুরসহ বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙন শুরু হয়েছে। অব্যহত ভাঙনে হলদিয় ইউনিয়নের চরাঞ্চলের ৩ আশ্রায়ণ কেন্দ্রসহ প্রায় ৩ শত পরিবারের ঘরবাড়ি বসত ভিটা নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে।


গোবিন্দি এলাকার মেহেদুল ইসলামসহ আরও অনেকে জানান, ইতোমধ্যে বেশ কিছু ঘরবাড়ি নদীর পেটে চলে গেছে। এছাড়া আরও অনেক পরিবার ঝুঁকিতে রয়েছে।

সাঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সুইট জানান, এবার বর্ষার শুরুতে যমুনা নদীর ভাঙনে গোবিন্দি এলাকার ২৪ পরিবারের বাড়ি-ঘর বসত ভিটা বিলীন হয়ে গেছে।

হলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, এই ইউনিয়নের বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙনে ৩ আশ্রয়ণ কেন্দ্রসহ প্রায় তিন শত বাড়ি-ঘর নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে। এই সব গৃহহারা লোকজনের বাড়ি-ঘর নির্মাণ করার মতো জমি না থাকায় এবং অর্থাভাবে তারা বিপাকের মধ্যে থেকে দিনাতিপাত করছেন।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন, মুন্সিরহাট ক্রস বাঁধের ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হচ্ছে। এছাড়া ঝুঁকিতে থাকা অন্যান্য এলাকাগুলো পরিদর্শন করা হচ্ছে।

Jamie Belcher

info@jagobahe24.com

News portal manager

Follow Me:

Comments