সারাদেশ

পীরগঞ্জে আশ্রয়ন প্রকল্পে প্রাক্কলন বহির্ভূত ১১টি ঘর সংলগ্ন বাথরুম টয়লেট নির্মান হলেও ৪ টিতে জায়গা নেই !

পীরগঞ্জ(রংপুর)প্রতিনিধি ঃ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের বিশেষ তদন্তটীমের নির্দেশে প্রাক্কলন বহির্ভূত নির্মিত ১৬ টি ঘর ভেঙ্গে নতুন করে নির্মানের নির্দেশ দেয়া হলেও রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার সানেরহাট ইউনিয়নের পালানুসাহাপুর গ্রামের ১১ টি ঘর সংলগ্ন টয়লেট বাথরুম নির্মান করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৪ টিতে বাথরুম টয়লেট নির্মানের কোন সুযোগ নেই। ফলে ওই ঘরগুলো প্রাক্কলন ও নক্সাবহির্ভূতই থেকে গেল। গতকাল শনিবার ওই গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে এ দৃশ্য। উপজেলা প্রকৌশলী মশিউর রহমান এসব নির্মানের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। গত কয়েকদিন ধরে তাঁর সার্বিক তত্তাবধানে এসব নির্মান করা হচ্ছে। অথচ এর আগে গোটা উপজেলায় মুজিবর্ষ উপলক্ষে গৃহহীনদের জন্য নির্মিত ঘর নির্মানের সময় তিনি কোথাও এসবের ধারে কাছে আসেননি কোনদিনও। একটি সুত্র জানায়,বিপুল পরিমান অর্থ সাশ্রয় ও হাতিয়ে নেয়ার হীন উদ্দেশ্যে সদ্য বদলী হয়ে যাওয়া নির্বাহী কর্মকর্তা বিরোদা রানী রায় কর্তৃক গোটা উপজেলায় নির্মিত ৫’শ ৩০ টি ঘর নির্মানে তড়িঘড়ির মাধ্যমে যেনতেনভাবে নির্মান করে দেয়া হলেও এখনও অর্ধ শতাধিক ঘর অসম্পুর্ন রয়েছে। জানা গেছে,৪ টি ঘরে টয়লেট বাথরুম নির্মানের কোন সুযোগ নেই। এগুলো হচ্ছে-ধীরেনের ছেলে সুবরন,মৃত রজনী কান্তের ছেলে ধীরেন,সর্বানন্দের ছেলে রিপন ও হেমাদীনি বেওয়া। সদ্য বদলী হয়ে যাওয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিরোদা রানী রায় এর পক্ষ থেকে উপজেলা প্রকৌশলী মশিউর রহমান ওইগুলো নির্মান করে দিচ্ছেন। তিনি কেন এ কাজ করে দিচ্ছেন ? তা আজও অজানাই রয়ে গেছে। এদিকে কয়েকমাস পুর্বে ঘরগুলোর নির্মানকাজ সম্পন্ন হলেও এখনও স্বর্ণবালা নামের এক বিধবার ঘর এ চালা লাগানো হয়নি। যে কারনে তিনি ঘরে বাস করতে পারছেন না। স্বর্ণবালার মৃত্যুপথযাত্রী শয্যাশায়ী মা সাতোবালা(৮০)কে প্রতিবেশীর বাড়িতে রাখা হয়েছে। অথচ এসব ঘর নির্মানের জন্য বরাদ্দকৃত বিল সমুদয় ইতিমধ্যে উত্তোলন করে নেয়া হয়েছে। এলাকাবাসী জানান, শুধুমাত্র ঘরের বরাদ্দকৃত বিল উত্তোলনের উদ্দেশ্যেই যেনতেনভাবে নিম্মমানের ও কম নির্মান সামগ্রী ব্যবহার করে এসব ঘর নির্মান করা হয়। কেউ আপত্তি জানালে তাকে ধমক দিয়ে থেমে দেয়া হয়েছে। গতকাল শনিবারও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের বিশেষ তদন্ত টীম সরেজমিন তদন্ত করতে উক্ত গ্রামে গিয়েছিলেন। একটি সুত্র জানায়,এসব বাথরুম টয়লেট নির্মানে নতুন করে আরও ৫ লক্ষাধিক টাকা ব্যয় হচ্ছে। উপজেলা প্রকৌশলী মশিউর রহমান এ অর্থ ব্যয় করছেন। তিনি কেন এ অর্থ ব্যয় করছেন ? এ প্রশ্নের জবাব কৌশলে এড়িয়ে যান তিনি।

Jamie Belcher

info@jagobahe24.com

News portal manager

Follow Me:

Comments