সারাদেশ

গোবিন্দগঞ্জে ইটভাটার কবল থেকে ১শ’ চার শতক জমি উদ্ধার

গাইবান্ধাঃ
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে একটি ইটভাটার কবল থেকে কোটি টাকা মূল্যের বেদখল হওয়া ১শ’ চার শতাংশ সরকারি জমি উদ্ধার করে গড়ে তোলা হচ্ছে গরীব দুঃখী মানুষের স্বপ্নের আবাস। প্রধানমন্ত্রীয় আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় এলাকার ৩২টি গৃহহীন পরিবার এখানে পাবে পাকাঘর। প্রতিটি ঘরের সামনে থাকবে ফুল-ফলের গাছ লাগানোর জায়গা। প্রকল্প এলাকার পাশেই রয়েছে পাকা সড়ক। স্কুল কলেজ ও হাট-বাজার রয়েছে খুব কাছাকাছি। এত সুবিধায় বেশ খুশী হয়েছেন এখানকার সুবিধাভোগীরা।
একজন মানুষও গৃহহীন থাকবেনা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য কাজ শুরু করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন। এরই অংশ হিসেবে অনুসন্ধান চালিয়ে উপজেলার কামারদহ ইউনিয়নের ঘোড়ামারা গ্রামে দীর্ঘ ২৬ বছর ধরে বেদখল থাকা এক একর চার শতক জমি উদ্ধার করা হয়। এ জমির বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় কোটি টাকা। এর আগে জমিটিতে রায়হান নামের এক ব্যক্তি দখল করে লাইসেন্স ও সরকারী অনুমোদন ছাড়াই বিটিবি নামের একটি ইটভাটা গড়ে তোলেন।
বর্তমানে উপজেলা প্রশাসন জমিটি উদ্ধার করে শুরু করা হয়েছে মুজিব বর্ষের আশ্রয়ন প্রকল্পের গৃহনির্মাণ কাজ। ইতোমধ্যেই ঘরের ভিত্তি সহ প্রাথমিক কাজ শেষ হয়েছে। এখন চলছে গাঁথুনির কাজ। প্রতিটি ঘরের দুইটি করে কক্ষসহ সংযুক্ত বাথরুম আর সামনে উন্মুক্ত বারান্দা। ঘরের পাশেই থাকবে শিশুদের খেলার জায়গা ও নামাজের জন্য মসজিদ।
এলাকাবাসী বিপ্লব মিয়া জানান, জায়গাটি আগে ইটভাটার মালিক দখল করে তার ভাটার কাজে ব্যবহার করতো। এখন জায়গাটি অনেক গরীব পরিবারের কাজে আসবে। একসাথে এতগুলো মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই হবে এখানে। বর্তমান সরকারের এটি একটি মহতি উদ্যোগ।
বিটিবি ইটভাটার মালিক আবু রায়হান বলেন, আমি মাত্র একবছর আগে ভাটাটি কিনে নিয়েছি বগুড়ার বাসিন্দা পূর্বের মালিকের কাছ থেকে। আগে এই ভাটার মধ্যে সরকারী জায়গা আছে, তা জানতাম না। প্রশাসনের পক্ষ থেকে যখনই খাস জমির কথা জানানো হয়েছে, তখনই ছেড়ে দিয়েছি।
এ ব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফ হোসেন বলেন, প্রায় কোটি টাকার এক একর চার শতক সরকারী জায়গা ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহৃত হত। এখন সেখানে ৩২টি পরিবার তাদের সন্তান সন্ততি নিয়ে বসবাস করবে। আর বসবাসের জন্য এই স্থানটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এখান থেকে সামান্য দুরেই ফাঁসিতলা বাজার, সেখানে স্কুল কলেজ রয়েছে। আর অসুখ-বিসুখে মহাসড়ক ব্যবহার করে গোবিন্দগঞ্জ হাসপাতালে আসতে পারবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আশ্রয়ন প্রকল্পের পাশে এখন ভাটা থাকলেও সুবিধাভোগীরা বসবাস শুরু করার আগেই ভাটার যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ করা হবে।
 উল্লেখ্য, সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ৮৫০টি ভূমিহীন পরিবারকে পুনর্বাসিত করা হবে। এর মধ্যে বর্তমানে ৩৮০টি ঘরের নির্মাণ কাজ চলছে।

Jamie Belcher

info@jagobahe24.com

News portal manager

Follow Me:

Comments