সারাদেশ
অবশেষে স্ত্রীর মর্যাদা পেলেন পলাশবাড়ীর সেই তরুণী
বুধবার (২ আগস্ট) দিবাগত রাতে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের খাসবাড়ী গ্রামের হারুন প্রধানের ছেলে মুরাদ হাসানের সঙ্গে সামাজিকভাবে মৌলভী দিয়ে বিয়ে পড়ানো হয় রুহানি আক্তার নামের সেই তরুণীর। এসময় উভয়পক্ষ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। এ বিয়ে সম্পাদন করেন খাসবাড়ী জামে মসজিদের মোয়াজ্জেম তরিকুল শেখ। এর আগে মঙ্গলবার (১ আগস্ট) সকালে মুরাদ হাসানের বাড়িতে স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে রুহানি আক্তার অবস্থান করছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হোসেনপুর ইউনিয়নের খাসবাড়ী গ্রামের হারুন প্রধানের ছেলে মুরাদ হাসান একই ইউনিয়নের আকবরনগর গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে রুহানি আক্তারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এরই ধারাবাহিকতায় কয়েক মাস আগে প্রেমিক মুরাদ হাসান গোপনে প্রেমিকা রুহানিকে কাবিনমূলে বিয়ে রেজিস্ট্রি করে। বর্তমানে তাদের রেজিস্ট্রির কথাটি জানাজানি হলে মুরাদ হাসান ওই মেয়েকে আর ঘরে তুলবে না এবং স্ত্রীর মর্যাদা দিবে না মর্মে জানান। বাধ্য হয়ে কোনো পথ খুঁজে না পেয়ে মঙ্গলবার (১ আগস্ট) সকালে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে প্রেমিক মুরাদ হাসানের বাড়িতে অববস্থান শুরু করে রুহানি।
এ বিষয়ে প্রেমিক মুরাদ ও প্রেমিকা রুহানি জানায়, বুধবার রাতে আমাদের সামাজিকভাবে বিয়ে সম্পাদন হয়েছে। আমরা যেন সুখে-শান্তিতে থাকতে পারি এজন্য সবার কাছে দোয়া চাই।
এ ব্যাপারে হোসেনপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য সাহারুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনা নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থির সৃষ্টি হয়। সবশেষ উভয়পক্ষ ও স্থানীয় সুধিজনের সম্মতিতে মুরাদ ও রুহানির বিয়ের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। তাদের জন্য দোয়া করছি।
Comments