জাতীয়
একাদশ জাতীয় সংসদের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ৩৭তম বৈঠক অনুষ্ঠিত
![](images/blog/blog_post259.jpg)
ঢাকাঃ
একাদশ জাতীয় সংসদের ‘মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’র ৩৭তম বৈঠক আজ কমিটির সভাপতি শাজাহান খান এর সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়।কমিটির সদস্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক, মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম, বীর উত্তম এবং এ বি তাজুল ইসলাম বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে বর্তমান সরকারের সময় (২০১৯-২০২৩) বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য মন্ত্রণালয় এবং তার আওতাধীন সংস্থা/বিভাগ কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধাসমূহ বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
বর্তমানে দেশে ‘অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক উদ্বোধনকৃত পাঁচ হাজার ‘বীর নিবাস’ তৈরীর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট হতে বঙ্গবন্ধু ছাত্রবৃত্তি, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের উত্তরাধিকারীদের ভাতা বৃদ্ধি, দেশে-বিদেশে চিকিৎসা সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া বাড়ীর হোল্ডিং ট্যাক্স, গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিল মওকুফসহ রেশন সুবিধা দেয়া হয়েছে মর্মে সভায় অবহিত করা হয়।
চট্টগ্রামে ৪টি বেইজমেন্টসহ ২৯তলা বিশিষ্ট টাওয়ার-৭১ ও ২টি বেইসমেন্টসহ ১৯তলা বিশিষ্ট জয়বাংলা বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের পাশাপাশি তেজগাঁওস্থ মেটাল প্যাকেজেস লিঃ এর লিজ গ্রহীতা নিকট পাওনা দুই কোটি টাকা বকেয়া ভাড়া আদায় করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করায় কমিটি কর্তৃক মন্ত্রণালয়ের কাজের প্রশংসা করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বাস্তবায়নের জন্য ‘‘জেলা ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন ক্যাপসুল লিফট স্থাপন’’ শীর্ষক প্রকল্পের কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য কমিটির পক্ষ হতে নির্দেশনা দেয়া হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ ও স্কুল-কলেজসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের নামকরণের জন্য সংসদ সদস্যগণের সমন্বয়ে কেন্দ্রীয় কমিটি এবং উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে উপজেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বৈঠকের শুরুতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাত্রিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবসহ পরিবারের সদস্যবৃন্দ, ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা, মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লক্ষ শহিদ, সম্ভ্রম হারানো দুই লক্ষ মা-বোন, জাতীয় চার নেতা এবং ভাষা আন্দোলনে সকল শহিদদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে তাঁদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
বৈঠকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল এর মহাপরিচালক, বিভিন্ন সংস্থা প্রধানগণসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
Comments