September 19, 2024
সারাদেশ

অধ্যাপক আবদুল কুদ্দুসের জানাজায় মানুষের ঢল

নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আবদুল কুদ্দুসের দ্বিতীয় ও তৃতীয় জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। এ সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ অংশ নেয়।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) দুপুর ১২টায় গুরুদাসপুর পাইলট পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে একই দিন বেলা ১১টায় বড়াইগ্রাম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানা গেছে, বুধবার (৩০ আগস্ট) সকালে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে আবদুল কুদ্দুস চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। পরে একই দিন বাদ জোহর ন্যাম ভবন মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে সেখান থেকে আবদুল কুদ্দুসের মরদেহ সন্ধ্যায় নেওয়া হয় তার নাটোরের গুরুদাসপুরের বাড়িতে। এ সময় হাজার হাজার নেতাকর্মী তার মরদেহ দেখার জন্য উপস্থিত হন।
পরিবারের সদস্যরা জানান, গত শনিবার সন্ধ্যায় শ্বাসকষ্টজনিত কারণে আবদুল কুদ্দুসকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় অক্সিজেনের মাত্রা কমতে থাকায় আইসিউতে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। বুধবার সকালে লাইফ সাপোর্ট খুলে দিয়ে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে থাইল্যান্ডে নেওয়ার কথা থাকলেও অক্সিজেনের মাত্রা কম থাকায় নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এদিকে আবদুল কুদ্দুসের পৈতৃক বাড়ি নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার চলনবিল অধ্যুষিত বিলসা গ্রামে। তিনি রাজশাহী কলেজের নির্বাচিত ভিপি ছিলেন এবং বৃহত্তর রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে টানা সাতবার দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন ও পাঁচবার নির্বাচিত হয়েছেন। বর্তমানে দ্বিতীয় বারের মতো নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পূর্বে রাজশাহীতে আবদুল কুদ্দুসই প্রথম পাকিস্তানের পতাকায় অগ্নিসংযোগ করেন। পরবর্তীতে ভারতে ট্রেনিং নিয়ে মুজিব বাহিনীর আঞ্চলিক কমান্ডার ও সংগঠকের ভূমিকা পালন করেন।

Jamie Belcher

info@jagobahe24.com

News portal manager

Follow Me:

Comments