খেলা

বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে দাপুটে জয়ে সুপার ফোরে ভারত

এশিয়া কাপে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে নবাগত দল নেপালের বিপক্ষে ১০ উইকেটের দাপুটে জয় পেয়েছে রোহিত শর্মারা। এই জয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোর নিশ্চিত করল রেকর্ড সাতবারের এশিয়ান চ্যাম্পিয়নরা।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে আসিফ শেখ ও সমপাল কামির দারুণ ব্যাটিংয়ের পরও ৪৮.২ ওভারে ২৩০ রানেই গুঁটিয়ে যায় নেপালের ইনিংস। এরপর ভারতীয়রা ব্যাটিংয়ে নামার পর বেরসিক বৃষ্টি শুরু হলে ডিএল মেথডে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৩ ওভারে ১৪৫ রান। সেই লক্ষ্যকে মামুলি বানিয়ে কোনো উইকেট না হারিয়েই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ক্রিকেট পরাশক্তিরা।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) শ্রীলঙ্কার পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে ডু অর ডাই ম্যাচে নেপালের দেওয়া ২৩১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভার দেখেশুনেই খেলেন রোহিত শর্মা। তবে পরের ওভারেই তিন বাউন্ডারি মেরে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের ইঙ্গিত দেন শুভমান গিল। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে বাউন্ডারি মারেন রোহিতও। তবে এরপর বৃষ্টির হানায় লম্বা সময় খেলা বন্ধ থাকে।

বৃষ্টি থামলে ভারতের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৩ ওভারে ১৪৫ রান। এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭ বল হাতে রেখেই জয় ছিনিয়ে নেয় ভারত। ব্যাট হাতে রোহিত শর্মা ৭৪ ও শুভমান গিল ৬৭ রানে অপরাজিত থেকে দলকে সুপার ফোরে নিয়ে যান।

এর আগে টস জিতে নেপালকে ব্যাটিংয়ে পাঠান অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ব্যাট করতে নেমেই নেপালকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার কুশল বুর্তেল এবং ৫৮ রান করেন আসিফ শেখ। উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র ৯.৫ ওভার ব্যাট করে স্কোর বোর্ডে ৬৫ রান তোলে তারা দুজনে।

নেপালিদের ইনিংসে প্রথম আঘাত হানেন পেস অলরাউন্ডার শার্দুল ঠাকুর। দশম ওভারের পঞ্চম বলে শার্দুলকে খোঁচা দিতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ইশান কিশানের হাতে ক্যাচ দেন কুশাল। বিদায়ের আগে ২৫ বলের টর্নেডো ইনিংসে ৩ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৩৮ রান করেন তিনি।

এরপর ক্রিজে এসে থিতু হতে পারেননি ভিম সার্কি। রবীন্দ্র জাদেজার বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। বিদায়ের আগে ১৭ বলে ৭ রান করেন এই ব্যাটার। এরপর বাঁহাতি এই স্পিনারের বলে দ্রুতই আরও দুই উইকেট হারায় নেপাল। অধিনায়ক রোহিত পাউডেল ৫ ও কুশল মাল্লা ২ রান করে বিদায় নেন।

তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে ফিফটি তুলে নেন ওপেনার আসিফ। ক্যারিয়ারের দশম ফিফটি হাঁকাতে তিনি খেলেন ৮৮ বল। তবে দলীয় ১৩২ রানে মোহাম্মদ সিরাজের বলে আউট হওয়ার আগে ৯৭ বলে ৫৮ রান করেন এই ওপেনার। আসিফের পরেই সাজঘরের পথ ধরেন গুলসান ঝা। ৩৫ বলে ২৩ রান করেন তিনি।

এরপর দিপেন্দ্র সিং ২৫ বলে ২৯ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন। তবে সমপাল কামির ব্যাটে ইনিংসে রানের চাকা সচল রাখে নেপাল। ৫৬ বলে ৪৮ রান করে আউট হন সমপাল। তার বিদায়ের পর দ্রুতই আরও দুই উইকেট হারিয়ে ২৩০ রানে অলআউট হয় নেপাল।

বোলিংয়ে রবীন্দ্র জাদেজা ও মোহাম্মদ সিরাজ প্রত্যেকে ৩টি করে উইকেট পান। এছাড়া একটি করে উইকেট পান মোহাম্মদ শামি, হার্দিক পান্ডিয়া ও শার্দুল ঠাকুর।

Jamie Belcher

info@jagobahe24.com

News portal manager

Follow Me:

Comments