খেলা

ভারতকে হারিয়ে জয় বাংলাদেশের

এশিয়া কাপে সুপার ফোরে পাকিস্তানের পর শ্রীলঙ্কার কাছে হারায় স্বপ্ন আগেই ভেঙে গিয়েছিল বাংলাদেশ দলের। মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের মিশনে ফাইনালে খেলার সুবর্ণ সুযোগ থাকলেও ব্যাটারদের ব্যর্থতায় বিদায় আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। তবে নিয়মরক্ষার ম্যাচে আসরের ফাইনালিস্ট ভারতকে হারিয়ে সান্ত্বনার জয় পেল সাকিব বাহিনী।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) কলম্বোর আর. প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ২৬৫ রান তোলে বাংলাদেশ। অধিনায়ক সাকিব ৮০, তাওহিদ হৃদয় ৫৪, নাসুম আহমেদ ৪৪ ও শেখ মাহেদি হাসান ২৯ রান করেন।
জবাবে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওপেনার শুভমান গিল সেঞ্চুরি তুলে নিলেও বাংলাদেশের আগুনে বোলিংয়ে ৪৯.৫ ওভারে ২৫৯ রানেই অলআউট হয়ে যায় ভারত। এতে ৬ রানের রুদ্ধশ্বাস জয় নিয়ে এবারের এশিয়া কাপ মিশন শেষ করল টাইগাররা।
বাংলাদেশের দেওয়া ২৬৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ভারত। অভিষিক্ত পেসার তানজিম হাসান সাকিবের জোড়া শিকারে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন রোহিত শর্মা ও তরুণ তিলক ভার্মা। নিজের করা দ্বিতীয় বলে শূন্য হাতেই বিদায় নেন ভারত অধিনায়ক। আর তিলক করেন ৯ বলে ৫ রান।
এরপর শুভমান গিলকে নিয়ে দলকে টেনে নিয়ে যান লোকেশ রাহুল। দুজনে মিলে ৫৭ রানের জুটি গড়ে দ্রুতই দলকে ম্যাচে ফেরান। তবে হঠাৎই থেমে যান রাহুল। দলীয় ৭৪ রানে শেখ মাহেদীর বলে আউট হন তিনি। পরক্ষণেই ইনফর্ম ইশান কিষানকে ৫ রানে ফিরিয়ে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
এতে ৯৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ভারত। এই পরিস্থিতিতে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন সূর্যকুমার যাদব। তবে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি তিনি। সাকিব আল হাসানের বলে বোল্ড হয়ে ব্যক্তিগত ২৬ রানে সাজঘরের পথ ধরেন হার্ডহিটার ব্যাটার।
একে একে ভারতীয় টপ-অর্ডার ব্যাটাররা ফিরলেও একপ্রান্ত আগলে থেকে যান ওপেনার শুভমান গিল। স্ট্রোকের ফুলঝুরি ছোটাতে থাকেন তিনি। তাকে সঙ্গ দেন রবীন্দ্র জাদেজা। কিন্তু মোস্তাফিজের বলে বোল্ড হয়ে আচমকাই থেমে যান তিনি। বিদায়ের আগে করেন ৭ রান করেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
তবে অপরপ্রান্তে গিল তাণ্ডব চলতেই থাকে। একের পর এক চার-ছক্কায় ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। এরপর আগ্রাসী হতে থাকা এই ব্যাটারকে ফেরান শেখ মেহেদী। বাউন্ডারি লাইনে তাওহিদ হৃদয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে ১৩৩ বলে ১২২ রান করে ফেরেন তিনি।
শেষদিকে মুস্তাফিজ, মেহেদী ও তানজিম সাকিবরা আর ভারতীয়দের ম্যাচটি ছিনিয়ে নিতে চাননি। শেষ ১২ বলে ভারতের দরকার ছিল মাত্র ১৭ রান। তবে স্বল্প পুঁজি তখনও বাংলাদেশকে স্বস্তিতে রাখতে দিচ্ছিল না। ৪৯তম ওভারে আক্রমণে এসেই মুস্তাফিজ শার্দুলকে ফেরান।
এরপর প্যাটেল চারের বাউন্ডারি মেরে আবারও পাল্টা হুমকি দিয়ে রাখেন। এরপরই ফের মুস্তার ঝলক। তাকে তুলে মারতে গিয়ে তানজিদ তামিমের তালুবন্দী হন প্যাটেল। ফলে লোয়ার অর্ডারে অক্ষর প্যাটেল ৪২ রান করলেও তা জয়ের জন্য পর্যাপ্ত ছিল না।
এরপর শেষ ওভারে টাইগারদের প্রয়োজন ছিল এক উইকেট, আর ভারতের সামনে সমীকরণ ৬ বলে ১২ রানের। আগেই দুই উইকেট নিয়ে অভিষেক রাঙানো তানজিম হাসান সাকিব প্রথম তিন বলই ডট দেন। এরপর চতুর্থ বলে মোহাম্মদ শামি চার হাঁকানোয় ম্যাচ প্রায় ফসকে যেতে বসে। এরপর চাপের মুহূর্তে ঝুঁকিপূর্ণ দুই রান নিতে গিয়ে রান আউট শামি। আর সেটাই শেষ হাসি এনে দিয়েছে সাকিব আল হাসানের দলের।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজ। চোট ও ফর্মহীন মুস্তার জন্য এটি অবশ্যই স্বস্তির। এছাড়া শেখ মেহেদী ও তানজিম সাকিব দুটি করে উইকেট নেন। সাকিব ও মিরাজের শিকার একটি করে।

Jamie Belcher

info@jagobahe24.com

News portal manager

Follow Me:

Comments