অপরাধ

পার্বতীপুরে শিক্ষা প্রতিষ্টানের প্রধানেই অবৈধ এর পরও নিয়োগ বানিজ্য॥

পার্বতীপুর, দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের পার্বতীপুর পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের চূড়ান্তভাবে বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক মানিক কুমার রায় ইতোপূর্বে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, দিনাজপুর কর্তৃক অবৈধ ভাবে এডহক কমিটি গঠন করেন। অত:পর ম্যানেজিং কমিটি গঠন করে নিয়োগ বানিজ্য করছেন।
পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ে মামলা সংক্রান্ত জটিলতা রয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে নিয়োগ বানিজ্য বন্ধ করার জন্য গত ২১/০৯/২০২৩ইং তারিখ পার্বতীপুর সহকারী জজ আদালত, দিনাজপরে অন্য ১৮৫/২০২৩ নম্বর মামলা দায়ের করেন পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবক এনামুল হক গং।  
পার্বতীপুর উপজেলাধীন পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়-এর বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক মানিক কুমার রায় গত ১৪/১২/২০১৯ইং তারিখে অত্র বিদ্যালয়ে যোগদান করেন এবং এমপিও ভূক্তির নিমিত্তে অনলাইনের মাধ্যমে কাগজপত্রাদি প্রেরণ করেন। অতঃপর বি,এড পাশের জাল সনদ হওয়ার প্রেক্ষিতে (জাতীয় বিশ্ববিদ্যায়ের অধীনে), উপ-পরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা, রংপুর অঞ্চল, রংপুর ইতোপূর্বে ৬(ছয়) বার ফাইল সমূহ রিজেক্ট করেন।
সেইপ্রেক্ষিতে উক্ত বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক মানিক কুমার রায়কে ম্যানেজিং কমিটি চূড়ান্ত ভাবে বরখাস্ত করে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, দিনাজপুরে অনুমোদনের জন্য মাধ্যমিক প্রতিষ্ঠানের আপীল অ্যান্ড আরবিট্রেশনে আবেদন করা হয়।
এখানে উল্লেখ করা যায় যে, মামলা নং জি,আর, ২০/২১, পার্বতীপুর রেলওয়ে-এর মামলার প্রেক্ষিতে মানিক কুমার রায় এর বি,এড পাশের সাময়িক সনদপত্র ও নম্বর পত্র যার রোল নং ৬১৪৬৮১, রেজিষ্ট্রেশন নং ৯৯৪৩৬৮, শিক্ষাবর্ষ ২০০৫-২০০৬, পরীক্ষা ২০০৭, ফলাফল দ্বিতীয় শ্রেণি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেকর্ড অনুযায়ী সঠিক নয় এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ইস্যু করা হয় নাই মর্মে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর যানান। যাহার স্মারক নং জাতী:বি:/পরী/সনদ/৪৪৯/২০০৫/৫৯৯০, তারিখ: ০৫/০৯/২০২১্ইং। সেই মোতাবেক তদন্ত অফিসার, দেওয়ান জিয়াউর রহমান, সাব-ইন্সপেক্টর, পার্বতীপুর রেলওয়ে থানা, পার্বতীপুর, দিনাজপুর মহোদয় চার্জ সীট বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিচার আদালত, দিনাজপুরে প্রেরণ করেন এবং গত ২০/০৬/২০২২ইং তারিখ চার্জ গঠন হয়।
মানিক কুমার রায় প্রতারনা পূর্বক ভূয়া বা জাল সনদ সত্য হিসেবে নিজে জেনে শুনে নিয়োগ বোর্ডকে বিশ্বাস করাইয়া প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ নিয়েছিলেন এবং ইতোপূর্বে গত ১২/০১/২০০১ইং তারিখে বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, পার্বতীপুর, দিনাজপুরে সহকারী শিক্ষক (হিন্দু ধর্ম) হিসাবে নিয়োগ প্রাপ্ত হয় এবং ১৫/০৯/২০০১ইং তারিখে যোগদান করেন। অতঃপর গত ১৭/০৪/২০১৩ইং তারিখে বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, পার্বতীপুর, দিনাজপুরে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে উক্ত বি,এড পাশের জাল সনদ দিয়েই নিয়োগ প্রাপ্ত হন এবং গত ২০/০৪/২০১৩ইং তারিখে যোগদান করেন এবং ২০/০৪/২০১৩ই্ং তারিখে এনালগ পদ্ধতিতে এমপিও ভূক্ত হয়। উক্ত পদে নিয়োগকালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক বি,এড-২০০৭ পাশের জাল সনদপত্র ও নম্বর পত্রের ভিত্তিতে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়। উক্ত তারিখ হইতে ১৩/১২/২০১৯ইং তারিখ পর্যন্ত উক্ত পদে বহাল ছিলেন এবং সরকারি টাকা আত্মসাৎ করেন।

পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ে মামলা সংক্রান্ত জটিলতার পরও ম্যানেজিং কমিটি গঠন করে নিয়োগ বানিজ্য নিযে পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবক এনামুল হক গং গত ২১/০৯/২৩ সহকারী জজ আদালত, দিনাজপরে মামলা দায়ের করেন।
এ বিযয়ে দিনাজপুর জেলা শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, কোন বিদ্যালয়ের মামলা সংক্রান্ত জটিলতা থাকলে মামলা নিরশন না হওয়া পর্যন্ত নিয়োগ বন্ধ থাকবে।


Jamie Belcher

info@jagobahe24.com

News portal manager

Follow Me:

Comments