নারী/ জয়া
সাদুল্যাপুরে নারী শ্রমিকেরা এখন মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছে
উপজেলার হাসানপাড়া, খামারপাড়া, তিলকপাড়া, সদরপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে জীবিকার তাগিদে বাধ্য হয়ে অনেকেই স্বামীর সঙ্গে কৃষি শ্রমিকের পেশা বেঁছে নিয়েছেন। তারা বিভিন্ন শস্যের বীজ বপন ও ফসল সংগ্রহসহ সব ধরনের কৃষিকাজ করে থাকেন। মঙ্গলবার সকালে ধাপেরহাট ইউনিয়নের খামারপাড়া গ্রামে ঘুরতে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে বসতবাড়ি আর গাছপালার ফাঁক দিয়ে তাকাতেই চোখে পড়ে দিগন্ত জুড়ে কৃষি ক্ষেত। এসব ক্ষেতে দল বেধে কাজ করছে নারী শ্রমিকরা। কাজ করতে করতে মনের আনন্দে আঞ্চলিক ভাষায় গান ও গীত গাইতেও দেখা যায় নারী শ্রমিকদের। ওদের মধ্যে শেফালী নামে এক নারী শ্রমিকের কাছে যানতে চাইলে সে বলে, পরিবারের অভাব কিছুটা দূর করতেই তার এই জীবন যুদ্ধে নামা। কয়েকজন নারীকে দিয়ে ধান ক্ষেতে কাজ করাচ্ছিলেন খামারপাড়া গ্রামের মঞ্জুর রহমান সাবু। তিনি বলেন, এলাকায় কাজের জন্য পুরুষ মানুষের সংকট এবং তাদের মজুরীও নারী শ্রমিকদের তুলনায় অনেক বেশি। তাই নারী শ্রমিক দিয়েই কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। রোজ সকালে তারা রান্নাবান্না সেরে সন্তানদের খাইয়ে দলবেঁধে কাজে বেরিয়ে পড়েন। পাঁচ থেকে ১০ জনের প্রতিটি দলে নারী শ্রমিকদের সঙ্গে দুই থেকে তিনজন পুরুষ শ্রমিক থাকেন। সকাল ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত চলে তাদের শ্রম দেয়া। পুরুষ শ্রমিকরা কাজ করতে মজুরির টাকা বাদ দিয়েও বাড়তি হিসাবে বিড়ি সিগারেট দিতে হয় কিন্তু নারীদের ক্ষেত্রে তার কোন প্রয়োজন হয় না।
কথা হয় সাদুল্লাপুর উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে, তিনি বলেন অত্র এলাকার নারী শ্রমিকরা অনেক পরিশ্রমি ও পুরুষের তুলনায় নারী শ্রমিকদের কাজের মুল্য অনেক কম হওয়াতে নারী শ্রমিকদের দিন দিন কদর বেড়েই চলেছে। অত্র এলাকায় ১২ মাস বিভিন্ন ফসল শাক,সবজি উৎপাদন হয়। তাই গৃহস্তদের সব সময়েই শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। পুরুষ শ্রমিক না পেলেও ওই স্থান পুরুন করছে নারী শ্রমিকেরা।
Comments