পড়াশুনা
শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নেই হামিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে॥
দিন দিন প্রাইমারি স্কুলের প্রতি অনীহা বাড়ছে শিক্ষার্থীদের, প্রাইমারির পাশেই বিভিন্ন জায়গায় কিন্ডার গার্টেন স্কুলগুলোতে দেখা মিলছে প্রচুর শিক্ষার্থীর অথচ সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা এবং দৃষ্টিনন্দন ভবন থাকলেও প্রাইমারিতে যেতে অনিহা প্রকাশ করছে শিক্ষার্থীরা। এমনটিই ঘটেছে পার্বতীপুর উপজেলার ৯ নং হামিদপুর ইউনিয়নের ধূলাউদাল মোড়ে অবস্থিত হামিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় প্রথম শ্রেণীতে ছাত্রের উপস্থিতি ৬ জন, দ্বিতীয় শ্রেনীতে ছাত্রের উপস্থিতি পাঁচজন, এলাকার একাধিক সুত্রে জানা গেছে এভাবেই তৃতীয়, চতুর্থ, এবং পঞ্চম শ্রেণীতে পাঁচ ছয় জন করে শিক্ষার্থী উপস্থিত থাকেন। খাতা-কলমে প্রথম শ্রেণীতে ১৩ জন, দ্বিতীয় শ্রেনীতে ১৫ জন, তৃতীয় শ্রেণীতে ৮ জন ,চতুর্থ শ্রেণীতে ১৩ জন, পঞ্চম শ্রেণীতে ২০ জন থাকলেও উপস্থিতি অর্ধেকেরও কম।
অত্র বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিনি জানান স্কুলের দুই পাশে দুটি কিন্ডার গার্টেন স্কুল হওয়ায়, বাচ্চারা বেশিরভাগ সেখানেই যাচ্ছে প্রাইমারিতে আসতে চাচ্ছে না। বাচ্চা পরিবহনের জন্য তাদের গাড়ী রয়েছে যার কারণে ছোট বাচ্চাদেরকে অভিভাবকরা সেখানেই পাঠাচ্ছে।
বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে প্রধান শিক্ষক সহ পাঁচজন শিক্ষক পাঠদান দিচ্ছেন খেলার জন্য রয়েছে বড় একটি মাঠ লেখাপড়ার জন্য সরকারিভাবে নির্মিত হয়েছে সুসজ্জিত ভবন তবুও কেন শিক্ষার্থী যাচ্ছেনা সেই প্রশ্ন থেকেই যায়। ঐ বিদ্যালয়ে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে বহাল রয়েছেন মোঃ রবিউল ইসলাম।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে এলাকার একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায় বিদ্যালয় পড়ালেখার মান ভালো না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা কিন্ডার গার্টেন স্কুল গুলোতে ঝুঁকে পড়ছে, অভিভাবকরাও তাদের সন্তানের ভালো লেখাপড়ার জন্য বেতন দিয়ে কিন্ডার গার্টেন গুলোতে ভর্তি করাচ্ছে।
এ বিষয়ে ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রবিউল ইসলাম এর সাথে ০১৭৫০৭৬৯৯৭৬ নম্বরে একাধীকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার কোন মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নি।
এ বিষয়ে পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান বিষয়টি অবগত হলাম, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে তিনি বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
Comments