জসীমউদ্দীন ইতি ঠাকুরগাঁও :ঠাকুরগাঁওয়ে নিখোঁজের ৩ দিন
পরে আব্দুল্লা নামে
৬ বছরের রহস্যময় শিশুর লাশ
উদ্ধার করা হয়েছে। ঠাকুরগাঁও সদর
উপজেলার সালন্দর ইউনিয়নের কৃষ্টপুর নামক
গ্রামে এ ঘটনা
ঘটে। আব্দুল্লা ঐ
এলাকার মাসুদ আলির
ছেলে।এ ঘটনায় শিশুটির পরিবারসহ ঐ
এলাকায় শোকের মাতম
চলছে, আর্তনাদে ফেটে
পড়ছেন শিশুটির মা
সহ আত্মীয় স্বজনেরা। তবে ঘটনাটি নিয়ে ঐ
এলাকায় নানা রহস্য
ও ধোয়াসায় ঘোরপাক খাচ্ছে। জানা
যায়, গত রবিবার সকাল ১১
টায় বাড়ি থেকে
বের হয়ে আর
বাড়িতে ফেরেনি আব্দুল্লা। অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে
না পাওয়া গেলে
ঐ দিনই ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করে
শিশুটির বাবা মাসুদ। আজ মঙ্গলবার সকালে শিশুটির দাদা পুকুর
পাড়ে শিশুটির ভাসমান লাশ দেখতে
পায়। পরে অর্ধগলিত শিশুর মরদেহটি উদ্ধার করে
এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর সূত্রে আরো জানা
যায়, শিশুটির বাবা
মাসুদের সাথে রুনা
বেগমের বিয়ে হয়
২০১৬ সালে। পারিবারিকভাবে তাদের মধ্যে
অনেক ঝগড়া ঝাটি
ও ঝামেলা চলাকালীন মামলা মোকদ্দমায় জরিয়ে পড়ে
তারা। এ নিয়ে
অনেক বার বিচার
মীমাংসাতে বসেও সমাধান হয়নি তাদের। এক পর্যায়ে ২০২১ সালে
তাদের ডিভোর্স হয়ে
সন্তানটি মায়ের কাছে
ছিল। গেল শনিবার শিশুটির দাদা
মতিউর রহমান রুনা
বেগমের বাড়ি বালিয়াডাঙ্গী থেকে আব্দুল্লাকে তার বাড়িতে নিয়ে আসে।
রবিবার সকাল থেকে
নিখোঁজ হয় শিশু
আব্দুল্লা। এ নিয়ে
রুনা আক্তার ঐদিনই
ঠাকুরগাঁও সদর থানায় ৫ জনের
নামে একটি লিখিত
অভিযোগ দায়ের করে।
শিশুটিকে অনেক খোঁজাখুঁজি করার পরেও
না পেয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় শিশুটির বাবা
মাসুদ একটি লিখিত
হারানো ডায়েরি করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, ঐ
পুকুরটিতে মাত্র ১
থেকে ২ শতক
জুরে পানি আছে
তার পরিমাণ হাটুর
সমান। যদি শিশুটি ঐ পুকুরে রবিবার ডুবে
মারা যায় তাহলে
সোমবার ঐ পুকুরে আমরা সবাই
এতো খোঁজাখুঁজির পরেও
কেন তার লাশ
পাওয়া গেলনা? আবার
মঙ্গলবার পাওয়া গেল
তাও আবার অর্ধেক শরীর পানিতে আর অর্ধেক শরীর ডাঙ্গায়। আমরা বিষয়টি অত্যন্ত রহস্যময় মনে করছি।
Comments