September 08, 2024
সারাদেশ

পীরগঞ্জ হানাদারমুক্ত দিবস

পীরগঞ্জ(রংপুর) প্রতিনিধিঃ আগামীকাল ৭ ডিসেম্বর রংপুরের পীরগঞ্জ থানা হানাদার মুক্ত দিবস। পীরগঞ্জ উপজেলার ইতিহাসে উজ্জ্বল হয়ে আছে এই দিনটি। মূলত পীরগঞ্জ থানা শত্রু মুক্ত হয় ৬ ডিসেম্বর গভীর রাতে। শুক্লপক্ষের অন্ধকার যবনিকা কেটে গিয়ে সূর্যোদয়ের পর বহু প্রতিক্ষিত এই সংবাদ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে। পরদিন ৭ ডিসেম্বর হাজার হাজার স্বাধীনতাকামী নারী-পুরুষ দীর্ঘদিনের কষ্ট-ক্লেদ ভূলে গিয়ে একাকার হয়ে বিজয় মিছিলে অংশ নেয়। এভাবে ৭ ডিসেম্বর পীরগঞ্জ থানা শত্রু মুক্ত হিসেবে পরিচিতি পায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, রাজাকার ও পাক সেনাদের আস্তানা ছিল পীরগঞ্জ থানা সদরে। ৬ ডিসেম্বর বিকেলে মিত্র বাহিনীর জলপাই রংয়ের ট্যাংক বহর ভারত থেকে ছুটে আসে দিনাজপুরের হিলি সীমান্ত পেরিয়ে। দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর হয়ে খরস্রোতা করতোয়া নদী পেরিয়ে মিত্র বাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধারা পীরগঞ্জ থানার পশ্চিমাঞ্চলের খালাশপীর,কাদিরাবাদ ও ত্রি-মহোনী সেতুর আশপাশে অবস্থান নিয়ে সূর্যাস্তের আগেই এলোপাতাড়ি গোলা বর্ষণ শুরু করে পীরগঞ্জ থানা সদরে অবস্থানরত পাক সেনাদের আস্থানার উপর। মিত্র বাহিনীর উপর্যুপরি আক্রমণের এক পর্যায়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে পাক সেনারা পিছু হটতে শুরু করে। দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পাক সেনাদের একটি অংশ রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক পথে পালিয়ে যবার সময় বড়দগাহ্ নামক স্থানে মিত্র বাহিনীর কাছে বাধাপ্রাপ্ত হয়। অপর অংশটি গাড়ি বহর নিয়ে মহাসড়ক ধরে বগুড়া সেনানিবাসের উদ্দেশ্যে পালিয়ে যায়। বিচ্ছিন্ন একটি অংশ অস্ত্র ও পোষাক খুলে পায়ে হেঁটে মিঠিপুর ইউনিয়নের গ্রামীন পথ ধরে পালিয়ে যায় পূর্বাঞ্চলের দিকে। মাদারগঞ্জের কাছাকাছি গিয়ে এরা জনগণের হাতে ধরা পড়ে নাজেহাল হয়।
এদিকে গর্বভরে বীর বীক্রমে ধীর গতিতে এগিয়ে আসে মিত্র বাহিনীর সাঁজোয়া বাহিনী। এক পর্যায়ে গোলার আওয়াজ থেমে যায়। গভীর রাতেই জলপাই রং এর ট্যাংক বহর নিয়ে মিত্র বাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর সার্থক জোয়ানরা পীরগঞ্জ থানা সদরে প্রবেশ করে বিজয়ের বেশে। পীরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সংগঠন এই দিনটি প্রতি বছরই মর্যাদার সাথে পালন করে আসছে। এবারও বেশ কয়েকটি সংগঠন দিবসটি পালনে বর্নাঢ্য শোভযাত্রা সহ নানামুখী কর্মসুচি গ্রহন করেছে বলে জানা গেছে।

Jamie Belcher

info@jagobahe24.com

News portal manager

Follow Me:

Comments