জাতীয়
নির্বাচনে অনিয়ম ঠেকাতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: সিইসি
প্রধান
নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচনে অনিয়ম
ঠেকাতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শনিবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জাতির
উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি কথা বলেন।
সিইসি
বলেন, নির্বাচনে অনিয়ম ঠেকাতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নির্বাচন
এবার সার্বজনীন কাঙ্খিত মাত্রায় হয়নি। নির্বাচন বিষয়ে সবাইকে পর্যাপ্ত
প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
নির্বাচনে
সহিংসতা গ্রহণযোগ্য নয়, আলাপ আলোচনায় যে কোনো রাজনৈতিক সংকট নিরসন সম্ভব।
সবাইকে ভোটকেন্দ্রে এসে আনন্দমুখর পরিবেশে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
দ্বাদশ
সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আগামী রোববার (৭ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হবে। সংসদ
ভোট অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে নির্বাচন কমিশন।
কমিশনের
দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৯টি সংসদীয় আসনে ১
হাজার ৯৭০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ইসিতে নিবন্ধিত ৪৪টি
রাজনৈতিক দলের মধ্যে এই নির্বাচনে ২৮টি রাজনৈতিক দলের হয়ে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১ হাজার ৫৩৪ জন প্রার্থী। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী
হিসেবে ভোটের মাঠে আছেন ৪৩৬ জন।
রাজনৈতিক
দলগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী ২৬৬ জন, জাতীয় পার্টির
২৬৫, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ১৩৫ জন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ৬৬
জন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ১২২ জন, জাতীয় পার্টির (জেপি) ১৩ জন,
বিকল্পধারা বাংলাদেশের ১০ জন প্রার্থী রয়েছেন। নির্বাচনে নারী প্রার্থী
হিসেবে রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৯০ জন। আর
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী অন্যান্য মিলে ৭৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
২৯৯ সংসদীয় আসনে মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৪২ হাজার ২৪টি। এসব কেন্দ্রে ভোটকক্ষ ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১২টি।
সর্বশেষ
প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৮৯
হাজার ২৮৯ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৬ কোটি ৭ লাখ ৬৯ হাজার ৭৪১ ও
নারী ভোটারের সংখ্যা ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৮ হাজার ৬৯৯। এছাড়া সারাদেশে এবার
তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার আছেন ৮৪৯ জন। আগামীকাল রবিবার ৭ জানুয়ারি সকাল ৮টা
থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
Comments