সারাদেশ
ভোটে সরবরাহ কমার অজুহাতে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলছে
ছাদেকুল
ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃ সদ্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হলেও সপ্তাহ না
পেরুতেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার।ভরা
মৌসুমে আরও চড়া হয়েছে সবজির দাম। (ভোটের আগে ও পরে) ব্যবধানে বাজারে
চালসহ বেশকিছু ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়েছে ব্রয়লার মুরগি, আটা, ময়দা, ডাল,
ছোলা, আদা ও রসুনসহ আরও বেশ কিছু পণ্যমূল্য।
শুক্রবার
(১২ জানুয়ারি) সকালে পলাশবাড়ী উপজেলাসহ পৌর শহড়ের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা
গেছে এ চিত্র।যদিও ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভোট ঘিরে গত কয়েকদিন প্রায় সব ধরনের
পণ্যের সরবরাহ কিছুটা কম ছিল। সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ায় পণ্যের দাম বেড়েছে।
তবে সাধারণ ভোক্তারা মনে করছেন, সরকারের ভোটের ব্যস্ততার সুযোগ নিয়ে
একশ্রেণির অতিমুনাফালোভী অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছেমতো পণ্যের দাম বাড়িয়েছেন।
ক্রেতাদের অভিযোগ, যে কোনো উছিলায় ব্যবসায়ীরা হুটহাট পণ্যের দাম বাড়ায়।
মানুষকে তারা জিম্মি করে ফেলেছে। ক্রেতারা মনে করেন, জনজীবনে স্বস্তি
ফেরাতে দ্রুত এই বাজার সিন্ডিকেট ভাঙা প্রয়োজন।
বাজারে
বেলাল নামের একজন ক্রেতা পণ্যের এ বাড়তি দামে দারুন উষ্মা প্রকাশ করেন।
সঙ্গে তিনি এ-ও বলেন, এখন তো দেখার কেউ নেই। সরকার ব্যস্ত। তাই যার যেভাবে
খুশি সেভাবে দাম বাড়াচ্ছে। ভুগছি শুধু আমাদের মতো সাধারণ মানুষেরা।
এদিকে,
গত কয়েক দিনের ব্যবধানে বাজারে প্রায় সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে। এখন
সরু (মিনিকেট) চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৮ থেকে ৭০ টাকা দরে। যা ৬৫ থেকে ৬৬
টাকা ছিল। মাঝারি (বিআর-২৮, পায়জাম) চালের কেজিতে সর্বোচ্চ তিন টাকা বেড়ে
বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা। দুই টাকা বেড়ে মোটা চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে
৫০ থেকে ৫২ টাকা।
চালের
দাম বাড়ার কারণ হিসেবে চালের আড়াতদারা বলেন, ভোটের কারণে গাড়ি এসেছে কম।
তাই সরবরাহ ঘাটতির কারণে চালের দাম বেড়েছে। তিনি জানান, বাজারে এখন
মানভেদে প্রতি বস্তা চালের দামে দেড়শো থেকে আড়াইশো টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
গত
কয়েক সপ্তাহ ধরেই চড়া সবজির দাম। এরমধ্যে আরও একদফা বেড়েছে এই কাঁচা
পণ্যটির দাম। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এখন সব ধরনের সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী।
কাঁচা পেঁপে ও মুলা ছাড়া ৫০ টাকা কেজির নিচে কোনো সবজি বাজারে নেই। ভরা
মৌসুমে শিম প্রতি কেজি ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপি ও বাঁধাকপি
৫০ টাকার নিচে মিলছে না। এক পিস লাউয়ের দাম ঠেকেছে ৮০ টাকায়।
Comments