পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধিঃ রংপুরের পীরগঞ্জে নিয়ম বহির্ভূতভাবে বিদ্যালয় স্থাপনের অভিযোগ উঠেছে। অনুমতি ছাড়াই আধা কিলোমিটারের মধ্যে আবুল কাসেম শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপন করায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। জানা গেছে, পীরগঞ্জ উপজেলার ৪ নং কুমেদপুর ইউনিয়নের পলাশবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি অবস্থিত। উক্ত বিদ্যালয়টি ১৯৪৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে সুনামের সহিত পরিচালিত হয়ে আসছে। কিন্তু ওই বিদ্যালয়ের আধা কিলোমিটার দূরে পলাশবাড়ী গ্রামে আবুল কাসেম শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় নামের আর একটি বিদ্যালয় স্থাপন করা হয় ২০২২ সালে। অপরদিকে স্থাপিত দেখানো হয়েছে ২০১০ সাল। এর আগে ওই বিদ্যালয়টি ০১নং চৈত্রকোল ইউনিয়নে শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত দেখানো হয়। উক্ত বিদ্যালয়টি শিশু কল্যাণ ট্রাষ্ট এ অর্ন্তরভুক্তির জন্য ২০১৫ সালে অনলাইনে আবেদন করে। উক্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে বিস্তারিত তথ্য সমূহ সঠিক বিবেচনায় শিশু কল্যাণ ট্রাষ্টের ট্রাষ্টি বোর্ড ০৯ আগষ্ট’২০১৬ সালে ৬৪ তম সভায় বিদ্যালয়টি ট্রাষ্টের অর্ন্তভুক্তির জন্য অনুমোদন করেন। ট্রাষ্ট দপ্তর বিদ্যালটির নম্বর ১৩৮ নির্ধারণ করে বিদ্যালয়টির নাম করণ শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাব খোলা এবং পরিচালনা কমিটি গঠনের জন্য ট্রাষ্ট দপ্তর ২২শে সেপ্টেমম্বর ২০১৬ সালের তারিখের ৩৮.১৭৯.০০০০.০৪.১০.২০১৬- ৩৫১ নং স্মারকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পীরগঞ্জ রংপুর বরাবরের পত্র প্রেরণ করেন। তখন থেকে ট্রাষ্ট দপ্তর বিদ্যালয়টির শিক্ষক কর্মচারীদের মাসিক বেতন ভাতা নিয়মিত ভাবে পরিশোধ করে আসছে। অপরদিকে ট্রাষ্ট দপ্তরের অনলাইন স্কুল মনিটরিং টিম সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে জানতে পারে। বিদ্যালয়টি রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার ০১নং চৈত্রকোল ইউনিয়নে অবস্থিত নয়। বিদ্যালয়টি পীরগঞ্জ উপজেলা সদরে কলেজ রোড সর্দারপাড়ায় একটি ভাড়া বাসায় পরিচালিত হচ্ছে। ট্রাষ্টির বোর্ড ৭৩তম সভায় অসৎ আচারণ ও প্রতারণা করায় শিক্ষকদের বিল ভাতা বন্ধ করে দেন। ভাড়া বাসায় পরিচালিত বিদ্যালয়টি আগের অবস্থানে ফিরে যাওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। বর্তমানে ওই বিদ্যালয়টি পুনরায় স্থানান্তর করার জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের পরিচালক আবুল বাশার গত বছরের ১৯ নভেম্বর স্বাক্ষরিত এক পত্রে নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রেজাউল করিম বলেন মন্ত্রণালয় থেকে বিদ্যালয়টি স্থানান্তর আদেশের কপি পেয়েছি। বিষয়টি প্রধান শিক্ষকে অবগত করা হয়েছে। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক রাশেদুর রহমান জানান, চিঠি পেয়েছি বলে জানান।
Comments