September 16, 2024
খেলা

চট্টগ্রামকে হারিয়ে কুমিল্লার বিশাল জয়

চলমান বিপিএলে রান না হওয়ায় টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার মুখস্ত নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তবে চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম ম্যাচেও এই নিয়ম অনুসরণ করে টস জিতে কুমিল্লাকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় স্বাগতিকরা। এই সিদ্ধান্তই কাল হয়েছে বন্দরনগরীর দলটি জন্য। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে চট্টগ্রামকে রানবন্যায় ভাসায় কুমিল্লা। সেই সঙ্গে তাদের ৭৩ রানের ব্যবধানে হারিয়ে কুমিল্লা।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে পাহাড় সামন ২৪০ রানের লক্ষ্য দেয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। জবাব দিতে নেমে ১৬৬ রানেই গুটিয়ে যায় শুভগত হোমের দল। এতে ৭৩ রানের বড় জয় পায় লিটন দাসের দল।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করেন চট্টগ্রামের দুই ওপেনার জশ ব্রাউন ও তানজিদ হাসান তামিম। দুজনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ৭ ওভার শেষে ৮০ রান তোলে দলটি। তবে ফিফটি পূরণ করতে পারেনি ওপেনারের কেউই।
২৪ বলে ৪১ রান করে তানজিদ তামিম আউট হলে ২৩ বলে ৩৬ রান করে তার দেখানো পথে হাঁটেন জশ ব্রাউন। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি টম ব্রুসও। ৭ বলে ১১ রান করে রিশাদকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন এই ডান হাতি ব্যাটার।
৮ বলে ১২ রান করে শাহাদত হোসেন আউট হলেও ব্যাট চালাতে থাকেন সৈকত আলী। ১১ বলে ৩৬ রান করে সৈকত আউট হলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় চট্টগ্রাম। ১৩ বলে ১৯ রানের ইনিংস খেলেন শুভাগত হোম।
এরপর শুরু হয় চট্টগ্রামের উইকেট মিছিল। কার্টিন ক্যাম্ফার (৫), শহিদুল ইসলাম (২), আল আমিন (০) এবং বিলাল খান ডাক আউট হলে ২১ বলে হাতে থাকতেই ১৬৬ রানে অলআউট হয় চট্টগ্রাম। এতে ৭৩ রানের বড় জয় পায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ১৬তম ওভারে তিন বলে তিন ব্যাটারকে ফিরিয়ে চলতি বিপিএলের প্রথম হ্যাটট্রিক করেন মঈন আলী।
কুমিল্লার হয়ে রিশাদ হোসেন ও মঈন আলী চারটি করে উইকেট শিকার করেন। এ ছাড়াও দুই উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে পাওয়ার প্লেতে ৬২ রান জড়ো করে লিটন দাস ও উইল জ্যাকস জুটি। দলীয় ৮৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় কুমিল্লা। ২৬ বলে হাফ-সেঞ্চুরি হাঁকানো লিটন ফেরেন ব্যক্তিগত ৬০ রানে। লিটনের পরই হৃদয়কে হারায় কুমিল্লা। রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন টপ-অর্ডার এই ব্যাটার।
এরপর ব্রুক গেস্টও দ্রুতই ফেরেন। ফেরার আগে ১১ বলে খেলেন ১০ রানের মন্থর এক ইনিংস। তবে দলীয় রানের গতিতে উইকেটের আঁচ লাগতে দেননি জ্যাকস। চড়াও হয়ে খেলতে থাকেন ইংলিশ এই ওপেনার। তাকে যোগ সঙ্গ দেন আরেক ইংলিশ সুপারস্টার মঈন আলিও।
এরপর ৫০ বলে এই ফরম্যাটে নিজের তৃতীয় সেঞ্চুরি হাঁকান জ্যাকস। শেষ পর্যন্ত ৫ চার ও ১০ ছক্কায় ৫৩ বলে ১০৮ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। অন্যদিকে ২৪ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন মঈন আলি। ২ চার ও ৫ ছক্কায় এই ইনিংস সাজান আলি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে কুমিল্লার সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৩৯ রান।

Jamie Belcher

info@jagobahe24.com

News portal manager

Follow Me:

Comments