সারাদেশ
পার্বতীপুরে চাঞ্চল্যকর পিপুল হত্যাকান্ড ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্টা
জানা যায়, পিপুল হাসপাতালে মারা যাওয়ার পরপরই তড়িঘড়ি করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পিপুলের শ্বশুর পক্ষের স্বজনদের হাতে লাশ স্বাভাবিকভাবে হস্তান্তর করে। পিপুলের বড় ভাই তয়েজ উদ্দিন (৬০) জানায়, আমি ডিউটি থেকে ফিরে এসে দেখি, ছোট ভাইয়ের লাশ বাড়িতে দাফনের ব্যবস্থা চলছে কোন রকম সুরতহাল রিপোর্ট বা ময়না তদন্ত ছাড়াই। অন্যান্য ভাইদের সাথে পরামর্শ করে হাসপাতাল এবং জিআরপি থানায় খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারি, মামলার কোন রকম ডকেট সংযুক্তি ছাড়াই হাসপাতালে চিকিৎসা করা হয়েছে। এক পর্যায়ে আমরা জিআরপি রেলওয়ে থানার উপর চাপ সৃষ্টি করলে তারা আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসা লাশ পার্বতীপুর থেকে ময়না তদন্তের জন্য পুনরায় দিনাজপুর নিয়ে যায়। অনুসন্ধানে জানা যায়, জিআরপি থানায় মামলা হলে শেষ পর্যন্ত পিপুলের লাশের সুরত হাল ও ময়না তদন্ত করেছে পুলিশ। মামলার বাদী নিহতের বড়ভাই তয়েজ উদ্দিন জানান, ১৪ ফেব্রুয়ারী দিবাগত রাতে আমার ভাই পিপুলকে তুলে নিয়ে শহরের প্রাণকেন্দ্র বদ্ধভূমিতে নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট ও নির্যাতন চালিয়ে অজ্ঞান করে হাত-পা বেঁধে বদ্ধভূমি সন্নিকটস্থ বাগানে কাঁটার উপরে ফেলে চলে যায় দুর্বৃত্তরা। আমরা খোঁজা-খুজির পর পরদিন সকালে তাকে উদ্ধার করে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। আহত ভাইয়ের জ্ঞান ফিরলে তার বর্ণনা মোতাবেক সেলিম (৪০), পলাশ (৪৫), রমজান (৩০), হিরু (৩২) ও লালু (৩৫) কে আসামি করে পার্বতীপুর রেলওয়ে থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করি। ইতোমধ্যে আমার ভাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। বিষয়টি নিয়ে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই কাজল হকের সাথে কথা হলে ঘটনা প্রবাহের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আমি প্রচন্ড অসুস্থ অবস্থায় ছুটিতে রয়েছি এবং ডাক্তার খানায় এসেছি, থানায় ফিরলে কথা হবে।
Comments