September 08, 2024
জাতীয়

নারী দিবসে সম্মাননা পাচ্ছেন পাঁচ জয়িতা

মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি) বলেছেন, জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানে শ্রেষ্ঠ ৫ জন জয়িতাকে সম্মাননা দেওয়া হবে। পাঁচজন শ্রেষ্ঠ জয়িতার প্রত্যেককে এক লাখ টাকার চেক, ক্রেস্ট, উত্তরীয় এবং সনদ দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে নারী দিবস নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে নারী সমাজের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, নারী অধিকার রক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন ও সমতা সৃষ্টির জন্য দিবসটির গুরুত্ব অপরিসীম। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনা ও নেতৃত্বে দেশে নারীর ক্ষমতায়নের শুরু হয়।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে নারীর উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন ও সমঅধিকার প্রতিষ্ঠায় সময়োপযোগী বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। শিক্ষা, চাকরি, ব্যবসা ও আত্মকর্মসংস্থান সকল ক্ষেত্রে নারীরা আজ সফল হয়েছে। নারীরা দেশের উন্নয়ন ও অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। যে কারণে সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় ১৪৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৫৯তম এবং দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে।
‘অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী’ ক্ষেত্রে ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে ময়মনসিংহ জেলার সফল উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী আনার কলি, ‘শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী’ ক্ষেত্রে ওরাও সম্প্রদায়ের জয়িতা রাজশাহী বিভাগ থেকে রাজশাহী জেলার কল্যাণী মিনজি, ‘সফল জননী নারী’ ক্ষেত্রে সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার কমলী রবিদাশ সম্মাননা পাচ্ছেন।
এছাড়া ‘নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করে সাফল্য অর্জনকারী’ ক্যাটাগরিতে বরিশাল বিভাগের বরগুনা জেলার জাহানারা বেগম এবং ‘সমাজ উন্নয়নে অবদান রেখেছেন যে নারী’ ক্ষেত্রে খুলনা জেলার পাখি দত্ত (হিজড়া) সম্মাননা পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন সিমিন হোসেন।
কমলী রবিদাশ মাত্র ১৮ টাকা দিন মজুরিতে চা শ্রমিক হিসেবে অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে তার একজন ছেলেকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করেন। বর্তমানে তার ছেলে একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা।
১২/১৩ বছর বয়সে বিয়ে হওয়া, যৌতুকের টাকা দিতে না পারার ফলে নিজ স্বামী কর্তৃক অ্যাসিডে দগ্ধ হয়ে পুনরায় জীবনে সাবলম্বী জয়িতা জাহানারা বেগম। পাখি দত্ত হিজড়া জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার, জীবনমান উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে নারী সমাজের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, নারী অধিকার রক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন ও সমতা সৃষ্টির জন্য দিবসটির গুরুত্ব অপরিসীম। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনা ও নেতৃত্বে দেশে নারীর ক্ষমতায়নের শুরু হয়।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে নারীর উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন ও সমঅধিকার প্রতিষ্ঠায় সময়োপযোগী বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। শিক্ষা, চাকরি, ব্যবসা ও আত্মকর্মসংস্থান সকল ক্ষেত্রে নারীর আজ সফল হয়েছে। নারীরা দেশের উন্নয়ন ও অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
এবার আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রতিপাদ্য- ‘নারীর সমঅধিকার, সমসুযোগ এগিয়ে নিতে হোক বিনিয়োগ’ শুক্রবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সকাল ১০টায় আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন উপলক্ষে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী।
এ সময় মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কেয়া খান ও তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য অফিসার মো. শাহেনুর মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

Jamie Belcher

info@jagobahe24.com

News portal manager

Follow Me:

Comments