সিগারেট ফিল্টার ও ভেপিং প্লাস্টিক দূষণ রোধে পরিবেশ মন্ত্রীর সাথে প্রজ্ঞা-আত্মার বৈঠক
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অতি সম্প্রতি সিগারেট ফিল্টার ও ভেপোরাইজারকে দ্রুত নিষিদ্ধের সুপারিশ করেছে। ১৮৩টি সদস্য দেশের অংশগ্রহণে গত ৫-১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ এ
অনুষ্ঠিত ডব্লিওএইচও এফসিটিসি কপ-১০ সভায় পরিবেশ সুরক্ষা সংক্রান্ত আর্টিক্যাল ১৮
এর অধিকতর বাস্তবায়নে এবিষয়ে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ
করা হয়। বিশ্ব
স্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল- এফসিটিসি’র সদস্য হিসেবে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বাধ্যবাধকতা রয়েছে বাংলাদেশের। এ লক্ষ্যে আজ (১৪
মার্চ) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী
সাবের হোসেন চৌধুরী এমপির সাথে বৈঠক করে গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা
(প্রগতির জন্য জ্ঞান) এবং অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স- আত্মা’র একটি প্রতিনিধি দল।
বৈঠকে প্লাস্টিক দূষণ
রোধে আগামী ২৩-২৯ এপ্রিল কানাডায়
অনুষ্ঠেয় ‘ইন্টারগভমেন্টাল নেগোসিয়েশন কমিটি’ বা ‘আইএনসি’ এর
চতুর্থ সম্মেলনে সিগারেট ফিল্টার এবং ভেপোরাইজারকে হিসেবে
নিষিদ্ধ করা, সিগারেট ফিল্টারকে
ক্ষতিকর প্লাস্টিক বর্জ্য হিসেবে শ্রেণীভুক্ত করা এবং তামাক কোম্পানিগুলোর
এক্সটেন্ডেড প্রোডিউসার রেস্পন্সিবিলিটি (ইপিআর) কার্যক্রমকে প্রতিরোধ করার
ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত
করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি।সিগারেট ফিল্টার ও ভেপোরাইজার অপ্রয়োজনীয়, পরিহারযোগ্য ও ক্ষতিকর, একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক যা দ্রুত পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ে, অণুজীব ও সামুদ্রিক জীব ধ্বংস করে এবং সাগরে দূষণ ঘটায়
বলে এগুলো দ্রুত নিষিদ্ধের সুপারিশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন।
পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের সমন্বিত প্রচেষ্টায় এ লক্ষ্য
বাস্তবায়ন করা সম্ভব বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন পরিবেশ মন্ত্রী।
Comments