সারাদেশ

রক্তিম কৃষ্ণচূড়ায় মেতেছে খানসামা উপজেলার প্রকৃতি; মুগ্ধ প্রকৃতিপ্রেমীরা

এস.এম.রকি, খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: লাল টুকটুকে কৃষ্ণচূড়া ফুল প্রকৃতিকে অপরূপ সাজে সাজিয়ে রঙিন করে তুলেছে এখন। গ্রীষ্মের তপ্ততায় যখন হাঁপিয়ে উঠেছে প্রকৃতি, সেই সময়েও চারদিকে সবুজের বুক চিরে রক্তিম লাল আভা জানান দিচ্ছে তার নয়নাভিরাম রূপের। জানিয়ে দিচ্ছে কৃষ্ণচূড়া যেন গ্রীষ্মকালেরই প্রতীক।
এমনই চিত্র দেখা গেছে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায়। এই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গাছে গাছে কৃষ্ণচূড়ার লাল মোহনীয় রূপে সেজেছে পথ-প্রান্তর। রক্তিম কৃষ্ণচূড়ার চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্য যেন হার মানায় ঋতুরাজ বসন্তকেও। এই কৃষ্ণচূড়াই গ্রীষ্মকে দেয় অন্য এক মাত্রা যা দেখলে যে কারো মন জুড়িয়ে যায়।
শুক্রবার (০৩ মে) উপজেলার পাকেরহাট ধানহাটি, শিশু পার্ক, কলেজ মোড়, শাপলা চত্বর, বেলতলী ও কৃষ্ণচূড়া মার্কেট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মূল সড়ক ও সংযোগ সড়ক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারী দপ্তর এমনকি বাড়ির উঠানে অনন্য রুপ ধারণ করে ফুটেছে রক্তিম কৃষ্ণচুড়া। কৃষ্ণচূড়া ফুলে দৃষ্টি কাড়ছে মানুষের। প্রকৃতিপ্রেমী দর্শনার্থীরা কৃষ্ণচূড়া ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে গাছের আশেপাশে সময় কাটাচ্ছেন আর কেউ ফুলের সাথে সেলফি তোলায় ব্যস্ত।
জানা যায়, কৃষ্ণচূড়া এক ধরনের বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদ। এর ইংরেজি নাম ফ্লেম ট্রি ও বৈজ্ঞানিক নাম ডেলোনিক্স রেজিয়া। এই গাছ চমৎকার পত্র-পল্লব এবং আগুনলাল কৃষ্ণচূড়া ফুলের জন্য প্রসিদ্ধ। এটি ফ্যাবেসি পরিবারের অন্তর্গত একটি বৃক্ষ, যা গুলমোহর নামেও পরিচিত।
নাজীমুল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, এখন যে গ্রীষ্মের তীব্র তাপদাহ এই সময়ে কৃষ্ণচূড়া ফুলের সৌন্দর্য স্বস্তি দেয়। এই সময়ে কৃষ্ণচুড়ার ফুলে নতুন রঙে রাঙিয়েছে। এমন সৌন্দর্য মনকেও ভালো রাখে।  
পাকেরহাট এলাকার মোকছেদুল ইসলাম নামে এক যুবক বলেন, কৃষ্ণচুড়া শুধু সৌন্দর্যবর্ধন করে না গ্রীষ্মের এ আগুনঝরা দিনে তার ছায়ায় আমরা আশ্রয় নিয়ে সময় কাটাই।
উপজেলার ছাতিয়ানগড় গ্রামের কৃষক মোতালেব ইসলাম বলেন, কৃষি কাজের মাঝে এই কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে বিশ্রামের জন্য বসি। এই গাছের নিচে বসলে শরীরও শীতল হয়। সেই সাথে এর সৌন্দর্য মুগ্ধতা ছড়ায়।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তাজ উদ্দিন বলেন, উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় কৃষ্ণচূড়ার গাছ রয়েছে। এতে এই গাছ ও ফুলের নান্দনিক সৌন্দর্য মুগ্ধ সবাই। এই গাছ রক্ষায় ও নতুন গাছ রোপণে উপজেলা প্রশাসন ও বন বিভাগ করছে। সেই সাথে সকল শ্রেণী-পেশারর মানুষকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে স্ব স্ব এলাকায় বৃক্ষরোপণ করার আহ্বান জানান এই কর্মকর্তা।

Jamie Belcher

info@jagobahe24.com

News portal manager

Follow Me:

Comments