রংপুরের পীরগঞ্জে ভেজাল গো-খাদ্য তৈরীর কারখানার তথ্য ও ফুটেজ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছে ৩ জন সাংবাদিক। গতকাল সোমবার দুপুরে উপজেলার চতরাহাটে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় আহত এশিয়ান টিভির পীরগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি মিনহাজুল ইসলাম মিলনকে আশংকাজনক অবস্থায় পীরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় পীরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
আহত সাংবাদিকগণ, প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশের নিকট অভিযোগে জানা গেছে, চতরা হাট এলাকায় দাঁদন ও মুদি ব্যবসায়ী চতরা মহিলা কলেজের প্রভাষক গিলাবাড়ি গ্রামের সোলায়মান মন্ডলের ছেলে জিয়াউর রহমান জিয়া মন্ডল দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠিত কোম্পানীর ভুষি, স্থানীয়ভাবে সংগৃহিত ধানের গুড়া, চালের গুড়া, সুজি, কাঠের গুড়ার মিশ্রণে গবাদি পশুর গো-খাদ্য হিসেবে তৈরীকৃত ভুষি বসুন্ধরা কোম্পানীর নামে প্যাকেটজাত করে বাজারজাত করে আসছিল। এলাকাবাসীর কাছে ঘটনা জানার সুত্র ধরে সোমবার দুপুরে মাইটিভির রংপুর প্রতিনিধি মাহমুদুল হাসান, এশিয়ান টিভির উপজেলা প্রতিনিধি মিনহাজুল ইসলাম মিলন, বায়ান্নর আলোর উপজেলা সংবাদদাতা মেফতাহুল ইসলাম জিয়ার গুদামঘর আব্দুল কুদ্দুস ভিলায় যায়। এ সময় তারা ভেজাল গো-খাদ্য মিশ্রনের ফুটেজ সংগ্রহ করছিল। এ সময়ে জিয়া তার বাবা সোলায়মান, শ্যালক জুয়েলসহ ৪/৫জনকে নিয়ে গুদামঘরে আসে এবং গুদাম ঘরের সাটার নামিয়ে কোন কথা না বলেই সাংবাদিকদের মারপিট করতে থাকে। এক পর্যায়ে এশিয়ান টিভির প্রতিনিধি পালিয়ে হাটের মধ্য আসলে সেখানেও তারা তাকে পেটাতে থাকে। এক পর্যায়ে মুমুর্ষ অবস্থায় মিনহাজুল ইসলাম মিলনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। পরে স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অপর সাংবাদিক মাহমুদুল ইসলাম ও মেফতাহুল ইসলামকে গুদামঘর থেকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় সহকারী কমিশনার ভুমি তকী ফয়সাল তালুকদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ৩টি গোডাউন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিকল্প তালা ঝুলিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যানের হেফাজতে দেয়। ইউএনও ইকবাল হাসান ও অফিসার ইনচার্জ আনোয়ারুল ইসলাম জানান, অবৈধ ব্যবসা বন্ধ, দ্রুত অপরাধীদের গ্রেফতারসহ অপরাপর আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে। এদিকে জেলা প্রশাসক মোবাশ্বের হাসান এ ঘটনায় দু:খ প্রকাশ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে প্রতিশ্রুতি দেন।