পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধিঃ রংপুরের পীরগঞ্জে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন " উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ শীর্ষক" প্রকল্পের আওতায় পাট উৎপাদনকারী চাষী প্রশিক্ষণ-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী স্থানীয় অডিটরিয়াম হলরুমে ওই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা প্রশাসন ও পাট অধিদপ্তর,বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় আয়োজিত এ প্রশিক্ষণে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ৭৫ জন পাটচাষী অংশ গ্রহন করে।
প্রশিক্ষণে সহকারী পরিচালক সোলায়মান আলী বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে, পাট শাক ক্যান্সার প্রতিরোধকারী, পলিথিন আসায় পাটের বিপর্যয় ঘটে। শতকরা ৮০ জন। দেশে বেসরকারী ভাবে ২৫০ শতাধিক পাট কল আছে। পাটের বহুমুখী ব্যবহার নিশ্চিত করা হলে দেশের পরিবেশ মাটির স্বাস্থ্যসহ অর্থনৈতিক অবদান রাখতে পারে। পাটের সাথে মাটির সম্পর্ক নিবিড়। পাট মাটিকে জৈবসার দেয়। জৈবসার কিন্তু মাটির প্রাণ। জমিতে কম পক্ষে ৫ভাগ থাকতে হবে। ৫ভাগ জৈবসার নাথাকলে জমি মরুভূমিতে পরিনত হতে পারে। বছরে প্রায় ৫ হাজার মে.টন পাট বীজ লাগে। ৭৯ থেকে ৮০ ভাগ বীজ ভারত থেকে যেকোন ভাবে আসে। পাট বীজ উৎপাদন ও পাট চাষ করা নাহলে দেশ অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। কাজেই পাটবীজ উৎপাদন করা হলে ভারত থেকে আর বীজ আনতে হবেনা।
প্রশিক্ষণে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের উপ- সচিব জিল্লুর রহমান ভিডিও কলে সংযুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন। পাট গবেণা ইনিস্টিটিউট এর উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. নিসার আব্দুল্লাাহ পাট বীজ উৎপাদনের বিষয়ে বক্তব্য রাখেন।
জেলা পাট কর্মকর্তা- একেএম মাহবুবুল আলম এবং উপজেলা পাট কর্মকর্তা চায়না খাতুন প্রশিক্ষক ছিলেন। উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ত্বকি আহমেদ ফয়সাল প্রধান অতিথি থেকে প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন।