September 08, 2024
সারাদেশ

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির এলাকায় ক্ষতিপূরণের নামে হয়রানীর বিরুদ্ধে মানববন্ধন॥

বড়পুকুরিয়া, দিনাজপুর প্রতিনিধি‍:
দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের ১২টি গ্রামের ১০হাজার ৪শত ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের ক্ষতিপূরণের নামে হয়রানীর বিরুদ্ধে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবার সকাল ১১টায় বড়পুকুরিয়া বাজারে জীবন ও সম্পদ রক্ষা কমিটির আয়োজনে এক বিশাল মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানব বন্ধনের বক্তব্য রাখেন জীনব ও সম্পদ রক্ষা কমিটির উপদেষ্টা হামিদপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ রেওয়ানুল হক ও মোঃ লিয়াকত আলী।
জীনব ও সম্পদ রক্ষা কমিটির উপদেষ্টা হামিদপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ রেওয়ানুল হক তিনি তার বক্তেব্যে বলেন, হামিদপুর ইউপির যে সমস্ত জনগনেরা কয়লাখনির কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আমি তাদের দ্রুত ক্ষতিপূরন দেওয়ার দাবী জানাচ্ছি। আমার জনগনের ভোগান্তি আমার ভোগান্তি। জনগনের ন্যায দাবী আদায়ে আমি তাদের সঙ্গে আছি। বিষয়টি দ্রুত সমাধান করতে দেশরতœ মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সু-দৃষ্টি কামনা করছি।
মানবন্ধনে তিনি আরও বলেন, কয়লা খনি হওয়ার কারণে প্রায় ১যুগ ধরে এই এলাকার ১২টি গ্রামের ১০ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলি সার্ভে করার পরেও ক্ষনি কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণ দিব দিচ্ছি করে টালবাহানা করছে। এখন পর্যন্ত কোন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে না। ইতি মধ্যে ১২টি গ্রামের কয়েশ শত ঘরে ভয়াবহ ফাটল দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে খনি কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। তারা এখন পর্যন্ত এলাকায় ঘুরে সবগ্রাম গুলির কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে তা সঠিক ভাবে তদন্ত করছে না। তারা দীর্ঘ দিন ধরে এলাকার মানুষের সাথে প্রতারণা করেছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসকেও অবগত করা হয়েছে।
মানববন্ধনে জীবন ও সম্পদ রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে রাতের বেলা ঘুমাতে পারি না। প্রচন্ড ঝাকুনি ও কাপুনি হয়। ইতি মধ্যে কাজীপাড়া, বাঁশপুকুর, মথুরাপুর, বৈদ্যনাথপুর, শিবকৃষ্ণপুর, পাতিগ্রাম, পাঁচঘরিয়া, চৌহাটি, কালুপাড়া, গোপালপাড়া, কাশিয়া ডাঙ্গা ও বৈগ্রাম এই ১২টি গ্রামে ১০ হাজার পরিবার ক্ষতিপূণের দাবীতে অধিকার আদায়ে আন্দোলন করে আসছি। কিন্তু এখন দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে ন্যায পাওনার দাবী করছি। আমাদের এই আন্দোলনে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি কর্তৃপক্ষ ১৫ দিনের মধ্যে দাবী মেনে না নিলে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। ঘেরাও করা হবে কয়লাখনির গেট। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি কর্তৃপক্ষ চুক্তি অনুযায়ী এলাকার আন্দোলনকারীদের সাথে প্রতারণা করেছে। মানবন্ধনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের ৬ দফা দাবীর মধ্যে রয়েছে ১. সার্ভেকৃত বসতবাড়ীর ক্ষতিপূরণের টাকা দ্রুত প্রদান করতে হবে। ২. মসজিদ, কবরস্থান সহ অধিগ্রহনকৃত জমির বকেয়া টাকা দ্রুত পরিশোধ করতে হবে। ৩. জনসাধারণের চলাচলের জন্য বৈদ্যনাথপুর হতে বৈগ্রাম পর্যন্ত রাস্তাটি পূর্বের ন্যায় পাকা করে দিতে হবে। ৪. সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় যোগ্যতা অনুযায়ী ঘর ঘর চাকুরী দিতে হবে। ৫. কয়লা খনি কর্তৃক সৃষ্ট পানিয় জলের সংকট দ্রুত নিরোশন করতে হবে। ৬. অত্যন্ত ঝুকিপূর্ন বা বসবাসের অওযাগ্য বসতবাড়ী ও স্থাপনার স্থায়ী সমাধান করতে হবে। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ সভাপতি মোঃ রুহুল আমিন, ইউপি সদস্য সাইদুর রহমান, ইউপি সদস্য আব্দুল কাদের, ভুক্তভোগী আমিনুল ইসলাম, মোঃ মতিয়ার রহমান সহ অন্যান্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এই বিষয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ সাইফুল ইসলাম এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সার্ভে কমিটি তৈরি করা হয়েছে কমিটি ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় গিয়ে তালিকা তৈরি করছে। তালিকা চূড়ান্ত করে অতি দ্রুত ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে।

Jamie Belcher

info@jagobahe24.com

News portal manager

Follow Me:

Comments