সারাদেশ
সাঈদ হত্যার দায় শিক্ষার্থীদের উপর চাপানোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি বামজোট রংপুর জেলা শাখা।
২৮জুলাই ২০২৪ রবিবার আবু সাঈদের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বাম গণতান্ত্রিক জোট
রংপুর জেলার নেতৃবৃন্দ যথাক্রমে আনোয়ার হোসেন বাবলু,আব্দুল কুদ্দুস ও কাফি
সরকার পুলিশের দায়ের করা ১৭ জুলাইয়ের মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে
এক যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন শান্তিপূর্ণ কোটা আন্দোলন
দমন করতে বিশ্ববিদ্যালয় ও রাষ্ট্রীয় প্রশাসন পরিকল্পিতভাবে কোটা আন্দোলনের
নেতা হিসেবে সাঈদকে গুলি করে হত্যা করেছে করে হত্যা করেছে।দেশবাসীসহ
সারাবিশ্ব তা প্রত্যক্ষ করেছে।পুলিশের গুলি করার ভিডিও ফুটেজ ফেসবুকসহ
বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং গণমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। হাজার হাজার
ছাত্রছাত্রী এবং সাধারণ মানুষ এই ঘটনা দেখেছে।অথচ বেরোবি পুলিশ ক্যাম্পের
ইনচার্জ বিভূতিভূষণ রায় ২/৩ হাজার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে অজ্ঞাতনামা
আসামী করে যে মামলা করেছে তা আমাদেরকে বিস্মিত করেছে।মামলা গর্ভে তিনি সাঈদ
হত্যার কারণ উল্লেখ করে লিখেছেন-"বিভিন্ন দিক থেকে আন্দোলনকারীদের ছোড়া
গোলাগুলি ও ইট পাটকেল নিক্ষেপের এক পর্যায়ে একজন শিক্ষার্থী রাস্তায় পড়ে
যেতে দেখা যায়।তখন তার সহপাঠীরা তাকে ধরাধরি করে জরুরী চিকিৎসার জন্য বিকেল
১৫:০৫ ঘটিকার সময় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত
চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।মৃত ছাত্রের নাম আবু সাঈদ।" নেতৃবৃন্দ
বলেনএমন বক্তব্যের একটাই উদ্দেশ্য বলে আমরা মনে করি-তাহলো খুনী পুলিশ ও
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অপরাধকে আঁড়াল করার চেষ্টা।অবিলম্বে মামলার সঠিক
কারণ ও সঠিক অপরাধীর(গুলি বর্ষণকারী পুলিশ)নাম উল্লেখ করে মামলা রুজু করার
আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ।এছাড়া উক্ত ঘটনার সময় পুলিশকে গুলি করতে উৎসাহ
প্রদানকারী ছাত্রলীগের সাথে হেলমেট পরিহিত দুই বেরোবি শিক্ষক আসাদুল ইসলাম
আসাদ ও মশিউর রহমানকে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানো
হয়।বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন সরকার ও প্রশাসন সাধারণ জনগণকে প্রতিপক্ষ
হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের উপর প্রতিশোধ নিচ্ছে।ছাত্র,শ্রমিক,কৃষকসহ
সর্বস্তরের মানুষকে নির্বিচারে গ্রেপ্তার করারও নিন্দা জানান নেতৃবৃন্দ।
Comments