সারাদেশ

পুনর্বাসন না করে রংপুর সাতমাথার বস্তি উচ্ছেদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন।

গত ১০ মে রংপুর মহানগরীর সাতমাথা থেকে মডার্ন মোড় পর্যন্ত উচ্ছেগ অভিযান চালায় প্রশাসন।এর প্রতিবাদে এবং উচ্ছেদের শিকার ভূমিহীন পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণসহ পুনর্বাসনের দাবিতে গতকাল ভুমিহীন ও গৃহহীন সংগঠন রংপুরের পক্ষ থেকে সুমি কমিউনিটি সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের উপদেষ্টা আনোয়ার হোসেন বাবলু।উপস্থিত ছিলেন বাসদ(মার্কসবাদী) রংপুর জেলার সদস্যসচিব আহসানুল আরেফিন তিতু ও ভূক্তভোগী পরিবারের সদসারা।লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, রংপুর মহানগরীর মডার্ন মোড় থেকে সাতমাথা পর্যন্ত অনেকগুলো ভুমিহীন পরিবার দীর্ঘদিন যাবৎ ঝুপরি ঘর করে বসবাস করছে। অনেকেই এনজিওর কাছে ঋণ নিয়ে এই মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু করেছে। হঠাৎ গত ৬/৭ মে রোডস এন্ড হাইওয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে উক্ত এলাকায় উচ্ছেদ অভিযানের ঘোষণা দিয়ে বসতবাড়ি, দোকানপাট খালি করার জন্য তিন দিনের নোটিশ দেয়। কিন্তু এখানে বসবাসকারী সকলেই দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ, যাদের জমানো কোনো টাকা নেই। যেখানে তিনবেলা খাবারই জোটেনা, সেখানে অন্য কোথাও নতুন বাসা করার খরচ বহন করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। আবার ভাড়া বাসায় থাকার সামর্থ্যও তাদের নেই। উচ্ছেদের আতঙ্কে থাকা এই মানুষগুলো গতকাল মিছিল করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যায় এবং স্মারকলিপি প্রদান করে পুনর্বাসন ছাড়া বসতবাড়ি উচ্ছেদ না করার অনুরোধ জানায়। এর প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক তাদের এই বলে আশ্বস্ত করেন যে, শুধু দোকানপাট উচ্ছেদ করা হবে বসতবাড়ি নয়। তাদের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে জেলা প্রশাসক নির্বাহী প্রকৌশলীকে ফোন করে নিশ্চিত হন যে, বসতবাড়ি উচ্ছেদ করা হচ্ছে না। জেলা প্রশাসক আরও বলেন, কারও বাড়ি ভাঙ্গলে তার সাথে যেন যোগাযোগ করা হয়। জেলা প্রশাসকের এই কথায় খুশিমনে বস্তিবাসীরা এলাকায় ফিরে গিয়ে দেখতে পায় যে তাদের সকলের বাড়ি গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। তাৎক্ষণিক জেলা প্রশাসকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি আর ফোন ধরেননি।এই মানুষগুলো গতকাল রাতে খোলা আকাশের নিচে তাদের ভাঙ্গা বাড়ির ধ্বংসস্তুপের পাশে বসে থেকে রাত কাটিয়েছে। প্রশাসনের এই অমানবিকতার শিকার শ্রমজীবি অসহায় মানুষদের কোনো ক্ষতিপূরণ বা ত্রাণ দেওয়া হয়নি। অথচ, সরকারের পক্ষ থেকে সকল ভূমিহীনকে পুনর্বাসনের প্রচার প্রতিদিনই হচ্ছে। হাইকোর্টেরও নির্দেশনা আছে, পুনর্বাসন ছাড়া কোনো বস্তি উচ্ছেদ করা যাবে না। আমরা আপনাদের মাধ্যমে সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি— উচ্ছেদের শিকার ভূমিহীনদের অবিলম্বে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিয়ে স্থায়ী পুনর্বাসন না হওয়া পর্যন্ত পূনরায় ঘর স্থাপনের জন্য সকল ব্যবস্থা করতে হবে।সংবাদ সম্মেলন শেষে ক্ষতিগ্রস্তদের একটি প্রতিনিধি দল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গিয়ে লিখিতভাবে প্রতিবাদ জানায়।

Jamie Belcher

info@jagobahe24.com

News portal manager

Follow Me:

Comments