সারাদেশ

পীরগঞ্জে সরকারি কাজে বাঁধার অভি‌যো‌গে ইউনিয়ন আ'লীগের সাধারণ সম্পাদক স্ত্রী-কন্যাসহ জেল-হাজ‌তে

পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধিঃ রংপুর পীরগঞ্জের শানেরহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মাস্টার, তার স্ত্রী বিজলী, মেয়ে মীম আক্তার, বোন বড় পাহাড়পুর গ্রামের মোনাজ উদ্দিনের স্ত্রী মিরা বেগম, আরেক বোন প্রথমডাঙ্গা গ্রামের লালমিয়ার স্ত্রী মমতা বেগম ও নিকটআত্মীয় ধল্লাকান্দি গ্রামের রুপিয়া বেগমকে আটক করে পুলিশ। সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার মামলায় আটক দেখিয়ে সন্ধ্যায় তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।মামলা নং-১৮।  
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়,আদালতের নির্দেশ পালনে যাওয়া পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও তার পরিবারের ধস্তাধস্তি এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে নারী পুলিশসহ বাহিনীর ৬ সদস্য আহত হয়েছেন। অপরপক্ষে আহত হয়েছেন আরও ১২-১৫ জন। বুধবার শানেরহাট ইউনিয়নের পাহাড়পুর মৌজায় এ ঘটনা ঘটে। উচ্চ আদালতের নির্দেশে সেচ পাম্পে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে যাওয়া নিয়ে এ সংঘর্ষ হয়।
২০১১ সাল থেকে মিজানুর পাহাড়পুর মৌজায় বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের একটি গভীর নলকূপ পরিচালনা করেন। কয়েক মাস আগে একই মৌজার নিজ জমিতে স্থানীয় কাজীপাড়ার রশিদ সরদার নলকূপ স্থাপনের জন্য উপজেলা সেচ কমিটির কাছে আবেদন করেন। অনুমোদনও পান। তবে অল্প দূরত্বে দুটি গভীর নলকূপ পরিচালনা সম্ভব নয় জানিয়ে মিজানুরের আবেদনের পর সেই সিদ্ধান্ত স্থগিত করে কমিটি।
কয়েক মাসেও বিষয়টি সুরাহা না হওয়ায় উচ্চ আদালতে যান রশিদ। সম্প্রতি হাইকোর্ট ১০ কার্যদিবসের মধ্যে রশিদের সেচ পাম্পে বিদ্যুৎ সংযোগের নির্দেশ দেন। তবে নির্দেশ অনুযায়ী রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ নলকূপে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন। বুুধবার পীরগঞ্জ থানা পুলিশসহ পল্লী বিদ্যুতের লোকজন সেখানে যান। বাধা দেন মিজানের পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। এক পর্যায়ে তারা পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন।

এ সময় নারী পুলিশ সদস্য গোলেনুর ও জান্নাতুল আহত হন। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে পুলিশের নায়েক ফারুক উজ জামান, কনস্টেবল তারেক, কামরুল, আরিফুল আহত হন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পীরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল আউয়াল জানান, হাইকোর্টের নির্দেশ পালনে পল্লী বিদ্যুতের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ওই সময় মিজান ও তার পরিবারের লোকজন হাইকোর্টের আদেশ পালনে বাঁধা দিয়ে মারমুখী আচরণ করে। পল্লী বিদ্যুতের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আসাদুজ্জামান বলেন, ১০ কার্যদিবসের মধ্যে হাইকোর্টের আদেশ পালনের বাধ্যবাধকতা ছিল। বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে বাধার সম্মুখীন হওয়ায় পুলিশের সহায়তা চাওয়া হয়েছিল।

Jamie Belcher

info@jagobahe24.com

News portal manager

Follow Me:

Comments