অপরাধ

চাটশাল দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যর অভিযোগ॥

বিরামপুর, দিনাজপুর প্রতিনিধি
ঘোড়াঘাট উপজেলার চাটশাল দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ বাণিজ্যর অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে। নিজেদের পছন্দের লোককে নিয়োগের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের অর্থ লেনদেনের অভিযোগও রয়েছে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে। নিয়োগ বাণিজ্য ও অর্থলেদেনের অভিযোগ এনে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচিত সদস্য মোঃ রফিকুল ইসলাম, কামরুল হাসান ও ওবাইদুল হক পুতুল সহ কমিটির সাবেক সভাপতি কামরুল হাসান ও তানভীর ইসলাম তুহিন প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ করেছেন। এ সময় এলাকার শতাধিক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। কমিটির লোকেরা ও এলাকার স্থানীয় লোকেরা বলেন, তদন্তের মাধ্যমে এই গোপন নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত এবং নতুন করে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগের দাবি জানান ঐ ভূক্তভূগিরা। পাশাপাশি ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সভাপতি ও সহ-সভাপতির শাস্তির দাবি করা হয়। প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানান যায়, বিদ্যালয়ের শূণ্য পদে আয়া, নিরাপত্তা প্রহরী, অফিস সহকারী এবং অফিস সহায়ক এই ৪টি পদে নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোলাইমান আলী। তবে কত তারিখে কিংবা কোন পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছে তা জানতে চাইলে এটি প্রতিষ্ঠানের গোপনীয় বিষয় বলে জানান প্রধান শিক্ষক। নিয়োগের বিষয়ে স্থানীয় লোকমুখে বিষয়টি শোনার পর অফিস সহকারী পদে নিজের ভাতিজার জন্য যোগাযোগ করেন এই প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মোঃ রফিকুল ইসলাম, চলতি বছরের গত এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক মোঃ সোলাইমান আলীর বাড়ীতে মোঃ রফিকুল ইসলাম কে ডেকে নিয়ে যায় সহ-সভাপতি মিনহাজুল ইসলাম বাবু। আলোচনার এক পর্যায়ে ঐ একটি পদের জন্য তার কাছে ১৫ লক্ষ টাকা দাবি করেন প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও সহ-সভাপতি। অভিযোগ রয়েছে আগ্রহী অনেক প্রার্থী প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের সাথে বার বার যোগাযোগ করেছে। তবে বিধিমালার দোহাই দিয়ে পত্রিকার নাম ও বিজ্ঞপ্তি প্রকশের তারিখ জানাতে অস্বিকৃতি জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোলাইমান আলী। নিয়োগের বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলেই তিনি বলেন আবেদনের সময় শেষ হয়েছে। এখন পত্রিকার নাম শুনে কি হবে। মোবাইল ফোনে কথা হয় প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক সোলাইমান আলীর সাথে। নিয়োগের বিষয়টি জানতে চাইলেই তিনি সাথে সাথে মোবাইল ফোনটি কেটে দেন। তাহার সাথে গতকাল সোমবার বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি আর মোবাইল ফোনটি গ্রহণ করেননি। ঘোড়াঘাট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সাত্তার বলেন, আমার দপ্তরে এখনও কোন অভিযোগ আসেনি। তবে শুনেছি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাছে ঐ প্রতিষ্ঠানের বিষেয়ে একটি অভিযোগ এসেছে। তবে সেটির সর্বশেষ অবস্থা এখনও জানা যায়নি। আমার কাছে অভিযোগ এলে তদন্ত করে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগে দূর্র্নীতির বিষয়টি তদন্ত স্বাপেক্ষে পরিচালনার ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন রফিকুল ইসলাম ও কামরুল হাসান।

Jamie Belcher

info@jagobahe24.com

News portal manager

Follow Me:

Comments