২০১৪ বিশ্বকাপেও টুর্নামেন্টের সেরা ফুটবলারের পুরস্কার গোল্ডেন বল জিতেছিলেন লিওনেল মেসি। কিন্তু সেবার থাকতে হয়েছে পরাজিতের দলে।৮ বছর পর ২০২২ সালে এসে বিশ্বকাপটাই জিতে নিলেন তিনি। সে সঙ্গে আবারও জিতলেন গোল্ডেন বল। ইতিহাসের প্রথম ফুটবলার হিসেবে দ্বিতীয়বার গোল্ডেন বল উঠলো মেসির হাতে।
শ্বকাপের ফাইনালে হ্যাটট্রিক করে গোল্ডেন বুট জিতে নিলেন ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপে। বিশ্বকাপের ইতিহাসে ফাইনালে প্রথমবারের মতো হ্যাটট্রিক করেন এমবাপে। সাত গোল করেও মেসি জিততে পারলে না প্রেস্টিজিয়াস পুরস্কারটি। মেসি এবং এমবাপে দু’জনই বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলতে নেমেছিলেন পাঁচটি করে গোল নিয়ে।
অবশেষ দিনটা আসলো। মেসির শেষ সময়ে এসে অধরা বিশ্বকাপ ধরা দিলো তার হাতে। তাদের ৩৬ বছরের ইতিহাসের সমাপ্তি ঘটিয়ে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে হারিয়ে ইতিহাস বদলে দিল আর্জেন্টিনা। সুখের হাসি হাসলেন মেসি। এমন দিনে গোল্ডেন গ্লাভসও জিতলেন মার্টিনেজ।
বিশ্বকাপের ফাইনাল হলো ফাইনালের মতো। যেখানে ম্যাচের শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তার পরও শিরোপা জিতল লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। লুসাইলে অতিরিক্ত সময়ের খেলা ৩-৩ গোলে সমতায় থাকার পর টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে ৪-২ গোলে হারিয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হলো লে আল্বিসেলেস্তেরা। এই জয়ের ফলে দীর্ঘ ৩৬ বছরের আক্ষেপ ঘুচিয়ে তৃতীয়বারের মতো শিরোপা নিজেদের ঘরে তুলল লিওনেল স্কালোনির দল।
লিওনেল মেসি পেনাল্টি থেকে গোল করে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন। এরপর গোল করেন অ্যানহেল ডি মারিয়া। ফলে প্রথমার্ধেই ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে লে আলবিসেলেস্তেরা। এতে চলতি কাতার বিশ্বকাপের শিরোপার সুবাতাস পাচ্ছে আর্জেন্টিনা।
ফুটবল বিশ্বকাপ আসলেই শুরু হয়ে যায় কে কতোটা গোল করলো সে হিসেব। কিন্তু কে কতোটা পায়ের জাদু দেখিয়ে দুচোখে প্রশান্তি আনতে পারে, সে হিসেবের খাতা নিয়েও আলোচনা হয় ঢের। সেসব গোল নিয়ে লেখা যায় অজস্র গল্প। আজ আমরা তেমন পাঁচজনের দিকে চোখ রাখবো, যারা বিশ্বকাপের এক আসরে নকআউট পর্বে সবচেয়ে বেশি গোল করেছেন।
আর মাত্র একটি ম্যাচ। এরপরই পর্দা নামবে ফিফা ফুটবলের বিশ্বকাপের ২২তম আসরের। আসরজুড়ে ছিল চমক আর অঘটনের খেলা। স্পেন, জার্মানি, ইংল্যান্ড, বেলজিয়াম এবং ব্রাজিলের মতো অনেক বড় দেশ বিদায় নিয়েছে শূন্য হাতে। তেমনি মরক্কোর মতো দল সেমিফাইনালে উঠে চমকে দিয়েছে সবাইকে। তবে এই দলগুলোর মধ্যে অনেকেই ফিফা বিশ্বকাপে এর আগে বিস্ময়কর সাফল্য অর্জন করেছে৷