আইন-আদালত

বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ বন্ধ: বর শ্রী ঘরে

পরিবার থেকে বিয়ের সকল আয়োজন সম্পূর্ণ, খাওয়া-দাওয়া শেষে বিয়ে পড়াবে এমন সময় বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ বন্ধ ও বর মাওলা (১৮) শ্রী ঘরে। জানা যায়, গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮ টায় বিরামপুর পৌর শহরের চকপাড়া (শাহিনপুকুর) মহল্লায় ৮ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছাত্রীর বিয়ের সকল আয়োজন সম্পূর্ণ, খাওয়া-দাওয়া শেষে কাজী বিয়ে পড়াবে এমন সময় বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে থানা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পরিমল কুমার সরকার। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও থানা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ির পিছনের দরজা দিয়ে বর-কনে, বরযাত্রী ও কাজীসহ অনেকে পালিয়ে যায়। পরে কনের অভিভাবকের সাথে সুকৌশলে কথা বলে বর-কনেকে সেখানে হাজির করা হয়।
প্রসঙ্গত, কনের বয়স ১৪ বছর ও বর মাওলার বয়স ১৮ বছর। দণ্ডপ্রাপ্ত বর মাওলা (১৮) দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার সিংড়া ইউনিয়নের মগলিশপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে।
পরে ঘটনাস্থলেই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বাল্যবিয়ের অপরাধে বরের তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান ও অপ্রাপ্ত বয়সে মেয়ের বাল্যবিয়ে দেয়ার প্রস্তুতির অপরাধে কনের অভিভাবকের পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার।
বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ নওয়াবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বাল্যবিয়ের অপরাধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পরিমল কুমার সরকার স্যার ভ্রাম্যমাণ আদালতে বরের তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান ও কনের অভিভাবকের পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেন।তিনি আরো জানান, আজ শনিবার সকালে কারাদণ্ড প্রাপ্ত বর মাওলাকে দিনাজপুর বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার জানান, অত্র উপজেলায় কোনো কিশোর-কিশোরী যেন বাল্যবিবাহের শিকার না হয়, সে জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর নজরদারি রাখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে জনস্বার্থে এ ধরনের পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে।

Jamie Belcher

info@jagobahe24.com

News portal manager

Follow Me:

Comments