অপরাধ

সাদুল্লাপুরে ৪ সহকারি শিক্ষক বেতন ভাতা উত্তোলন করেন প্রধান শিক্ষকের

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃগাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার চারটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক জালিয়াতির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দীর্ঘ ২০১৪ সাল থেকে মোট ৯৬ মাসের বেতন অবৈধভাবে উত্তোলনের বিষয়টি প্রকাশ হলে স্থানীয় শিক্ষা বিভাগে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা শিক্ষা অফিসার উল্লেখিত শিক্ষকদের গ্রহণকৃত অতিরিক্ত অর্থ ফেরত দেয়ার নির্দেশ দিলে ওই শিক্ষকরা গত জুলাই মাস থেকে বেতন ভাতাদি উত্তোলন থেকে বিরত রয়েছেন। ফলে এ নিয়ে এক জটিল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।সাদুল্যাপুর উপজেলা শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলায় ২০১৩ সালে বেসরকারি ও কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় সমূহকে সরকারিকরণ করা হলে সাদুল্যাপুর উপজেলার আরাজী তরফ কামাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, মধ্য কিসামত দশলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোঃ লুৎফর রহমান, চকনদী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোঃ সাইফুর রহমান ও তরফবাজিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোঃ ছাদেকুল ইসলাম সহকারী শিক্ষক হিসাবে গেজেটভুক্ত হন। কিন্তু চাকুরীকালিন সময়ে ওই চার সহকারি শিক্ষক স্থানীয় শিক্ষা বিভাগের যোগসাজসের মাধ্যমে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ২০১৪ সাল থেকে সংশ্লি¬ষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসাবে অবৈধভাবে বেতন ভাতাদি উত্তোলন করে আসছিলেন। বিষয়টি ফাঁস হলে গত জুলাই মাসে এ জালিয়াতির বিষয়টি বর্তমান উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুল্লাহিশ শাফীর কাছে ধরা পড়ে। তিনি সহকারী শিক্ষক হিসাবে গেজেটভূক্ত হওয়া স্বত্তে¡ও জালিয়াতির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক হিসাবে বেতন ভাতাদি উত্তোলন করা বিধি সম্মত নয় এ মর্মে গত জুলাই মাসে দুর্নীতির আশ্রয় নেয়া সংশ্লি¬ষ্ট ৪ শিক্ষককে পত্র দ্বারা অবহিত করে জালিয়াতির মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেন। এতে জালিয়াত শিক্ষকদের টনক না নড়লে সাদুল্যাপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার ওই ৪ জন শিক্ষকের বেতন ভাতাদি গত জুলাই মাস হতে স্থগিত করে তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা চেয়ে গত ২১ নভেম্বর গাইবান্ধা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর পত্র প্রেরণ করেন। যার স্মারক নং- উশিঅ/সাদু/গাই/২০২২/৭৩০ তাং- ২১/১১/২০২২।উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্দুল¬াহিশ শাফী জানান, ইতিমধ্যে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার উল্লেখিত ওই চার শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন। সে অনুযায়ী উপজেলা শিক্ষা অফিসার ওই চার শিক্ষককে সহকারি শিক্ষক হিসেবে বেতন ভাতাতি গ্রহণ ও পূর্বের আত্মসাতকৃত অতিরিক্ত টাকা ফেরত দেয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন।

এব্যাপারে মধ্য কিসামত দশলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কথিত প্রধান শিক্ষক মোঃ লুৎফর রহমান জানান, ম্যানেজিং কমিটি (এমএমসি) কমিটি জাতীয়করণকালে তাকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন এবং তৎকালিন উপজেলা শিক্ষা অফিসার তা অনুমোদন দেন। সেই থেকে তিনি প্রধান শিক্ষক হিসেবে বেতনভাতাদি উত্তোলন করছেন। এতে তার কোন অপরাধ আছে বলে তিনি মনে করেন না।

Jamie Belcher

info@jagobahe24.com

News portal manager

Follow Me:

Comments